নতুন সেলফোন কেনার আগ্রহ সবারই থাকে। কখনো তা সম্ভব হয়, কখনো বাজেটের কথা বিবেচনায় সেকেন্ড হ্যান্ড বা ব্যবহৃত ডিভাইস কিনতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে সেকেন্ড হ্যান্ড সেলফোন কেনার মাধ্যমে বড় ধরনের খরচের হাত থেকে বাঁচা যায়। তবে এক্ষেত্রে নিজের সিদ্ধান্ত সঠিক কিনা সেটি নিশ্চিত করতে হবে। আর এর জন্য বেশকিছু বিষয় রয়েছে। গিজচায়নার খবরে এসব বিষয় উঠে এসেছে।
সেলফোনের কন্ডিশন বা অবস্থা: সেকেন্ড হ্যান্ড সেলফোন কখনই নতুন হবে না। তাই ফোনের কন্ডিশন বা অবস্থা দেখে নিতে হবে। সেলফোনে কোনো আঁচড়, ফাটা দাগ বা সমস্যা আছে কিনা তা দেখতে হবে।
ডিভাইসের অতীত: সেকেন্ড হ্যান্ড সেলফোন কেনার আগে এর ব্যবহারসংক্রান্ত অতীত তথ্য জেনে নিতে হবে। এজন্য যার কাছ থেকে ডিভাইস কেনা হবে তার কাছ থেকে সেলফোনটি কতদিন ব্যবহার করা হয়েছে, কী কাজ করা হয়েছে, কোনো সার্ভিসিং করানো হয়েছে কিনা, কোনো দুর্ঘটনা হয়েছে কিনা তা জানতে হবে।
সেলফোনের ওয়ারেন্টি: সেকেন্ড হ্যান্ড ডিভাইসে যদি ওয়ারেন্টির সময় থাকে তাহলে বিক্রেতার কাছ থেকে সে-সংক্রান্ত তথ্য নিতে হবে। ফলে কোনো কারণে ডিভাইসের ক্ষতি হলে ওয়ারেন্টিতে সহায়তা পাওয়া যাবে।
ডিভাইসের ব্যবহারযোগ্যতা: যে বা যিনি ডিভাইসটি ব্যবহার করবেন তার দৈনন্দিন জীবন ও আশপাশের নেটওয়ার্কের সঙ্গে ডিভাইসটি সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা সে বিষয়টি খেয়াল করতে হবে।
সেলফোনের মূল্য: যে সেলফোনটি সেকেন্ড হ্যান্ড কেনা হবে সেটির বর্তমান দাম ও অন্য বিক্রেতাদের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে হবে। এজন্য অনলাইনে মূল্য সমন্বয়ের জন্য আলাদা টুলও রয়েছে।
আইএমইআই নাম্বার যাচাই: আইএমইআই হলো যেকোনো সেলফোনের ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার। সেলফোনের সেটিংসে প্রবেশ করে অ্যাবাউট ট্যাবে আইএমইআই নাম্বার পাওয়া যাবে। ফোনটি চুরি হয়েছে কিনা তা জানতে এটি ব্যবহার করা যায়।
সফটওয়্যার ভার্সন: সেকেন্ড হ্যান্ড সেলফোন কেনার আগে এর সফটওয়্যার ভার্সন দেখতে হবে। জেনারেল সেটিংসের অ্যাবাউটে প্রবেশ করে সফটওয়্যার ভার্সন দেখা যাবে। হালনাগাদ ভার্সন না থাকলে সে ডিভাইস না কেনাই ভালো।
ব্যাটারি হেলথ: সেকেন্ড হ্যান্ড ডিভাইস কেনার সময় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ব্যাটারি হেলথ যাচাই করা। আইফোনের ব্যাটারি হেলথ দেখা গেলেও অ্যান্ড্রয়েডের হেলথ যাচাই করা যায় না। তবে ব্যাটারি কমার সময় দেখে হেলথ অনেকটাই যাচাই করা যায়।
সেকেন্ড হ্যান্ড বা ব্যবহৃত সেলফোন কেনার সময় আরো কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
বিশ্বস্ত দোকান বা বিক্রেতা থেকে কেনা: বর্তমানে অনেক মাধ্যমেই সেকেন্ড হ্যান্ড সেলফোন কেনা যায়। তবে সব মাধ্যমই যে প্রকৃত বা বিশ্বাসযোগ্য তা নয়। তাই কেনার আগে দোকান, অনলাইন শপ বা বিক্রেতা সম্পর্কে খোঁজ নিতে হবে।
সেলফোন সম্পর্কে প্রশ্ন করা: বিক্রেতাকে সেলফোন সম্পর্কে প্রশ্ন করতে হবে। এর বৈশিষ্ট্য, সুবিধা, কতদিন ব্যবহার করা হয়েছে, ক্যামেরার মান কেমন এসব বিষয়ে জানতে হবে। বিক্রেতা উত্তর না দিলে সে ডিভাইস না কেনাই ভালো।
সেলফোন হাতে নিয়ে পরীক্ষা করা: সেকেন্ড হ্যান্ড ডিভাইস কেনার সময় সম্ভব হলে সশরীরে উপস্থিত হয়ে সেলফোন পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ফলে ডিভাইসটির সবকিছু ভালোভাবে কাজ করছে কিনা তা যাচাই করা সম্ভব হবে।