ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন ব্যবসায় বৈচিত্র্য আনতে জোর দিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে হার্ডওয়্যার, অনলাইন ভিডিও ও মিউজিক কনটেন্ট স্ট্রিমিং খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে প্রতিষ্ঠানটি। চলতি বছর শুধু অনলাইন মিউজিক এবং ভিডিও কনটেন্টে ৭০০ কোটি ডলার ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে এ মার্কিন প্রতিষ্ঠান।
গত শুক্রবার প্রথমবারের মতো অনলাইন মিউজিক ও ভিডিও কনটেন্ট বাবদ ব্যয়ের তথ্য প্রকাশ করেছে অ্যামাজন। এতে দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) মিউজিক ও ভিডিও কনটেন্ট বাবদ ১৭০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে প্রতিষ্ঠানটি। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে অ্যামাজনের প্রাইম মেম্বারশিপ প্রোগ্রামে বিনিয়োগ গত বছরের একই প্রান্তিকের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেড়েছে। গত বছর প্রথম প্রান্তিকে প্রাইম মেম্বারশিপ প্রোগ্রামে প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগ ১৫০ কোটি ডলার ছিল। প্রান্তিকভিত্তিক আর্থিক নথিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, অনলাইন ভিডিও এবং মিউজিক কনটেন্টে পুরো বছরের জন্য বিনিয়োগ ৭০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং খাতে নেটফ্লিক্স এবং হুলুর মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে অ্যামাজন। অন্যদিকে মিউজিক স্ট্রিমিং খাতে অ্যাপল, স্পটিফাই ও আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী করছে। ভিডিও ও মিউজিক স্ট্রিমিং সেবা খাতে ব্যবসা জোরদারে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে অ্যামাজন। এক্ষেত্রে ই-কমার্স খাতের জনপ্রিয়তা কাজে লাগাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রাইম মেম্বারদের ১১৯ ডলারে বছরব্যাপী অনলাইন ভিডিও এবং মিউজিক সেবা ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে অ্যামাজনের ইনভেস্টর রিলেশনস বিভাগের পরিচালক ডেভ ফিল্ডস বলেন, ‘অনলাইন ভিডিও এবং মিউজিক স্ট্রিমিং খাত ঘিরে আমরা আশাবাদী। বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের এ খাতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখতে দিন।
বিটিআইজির বিশ্লেষক রিচ গ্রিনফিল্ড এর আগে এক পূর্বাভাসে জানিয়েছিলেন, চলতি বছর অনলাইন ভিডিও ও মিউজিক স্ট্রিমিং খাতে ব্যবসা জোরদারে প্রয়োজনীয় কনটেন্ট উন্নয়নে ৬০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে পারে অ্যামাজন।