জিমেইল জনপ্রিয় ই-মেইল পরিষেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। এর মালিক গুগল। জিমেইল ফ্রিতে এই সেবা ব্যবহার করতে দেয়। কিন্তু এর স্টোরেজ লিমিটেশন আছে। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ স্টোরেজ ব্যবহারের পর আপনি আর বিনামূল্যে জিমেলের স্টোরেজ ব্যবহার করতে পারবেন না।
ই-মেইলের মাধ্যমে আমরা জরুরি একাধিক কাজ করে থাকি। পাশাপাশি আমাদের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের নোটিফিকেশনও আসে জিমেইলের ইমেলে। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানির নিউজলেটার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের অফার, যা আমাদের জিমেইলেই ই-মেইল হিসেবে আসে।
এদিকে অনেক সময় এমন হয়, যখন প্রমোশনাল ই-মেইলগুলো আমাদের কিছুটা বাধ্য হয়েই মুছে ফেলতে হয়। সেই সঙ্গেই আবার যে সব অপ্রয়োজনীয় ই-মেইলগুলো থাকে, ডিলিট করতে হয় সেগুলোও। কারণ, সেই ই-মেইলগুলো আমাদের খুব একটা কাজে আসে না।
সমস্যার বিষয়টি হল, জিমেইল আমাদের প্রাথমিকভাবে ১৫ জিবি স্টোরেজ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অফার করে। কিন্তু সেই স্টোরেজ টইটম্বুর হয়ে যেতেও খুব একটা বেশি সময় লাগে না। এছাড়া শুধু তো আর ই-মেইল নয়। জিমেইলের এই স্টোরেজের মধ্যেই রয়েছে গুগল ড্রাইভে আমাদের বিভিন্ন ফাইল। সেগুলোও অনেকটাই জায়গা খায়।
ফ্রি ১৫ জিবি স্টোরেজ যদি শেষ হয়ে যায়, তাহলে আপনাকে গুগল ওয়ানের সাবস্ক্রিপশন কিনতে হয়। তার সাহায্যে আপনি আরও কিছুটা পরিমাণ স্টোরেজ পেয়ে যেতে পারেন।
তবে এমনই এক কৌশল রয়েছে, যার সাহায্যে আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ৪ টেরবাইট স্টোরেজ পেয়ে যাবেন। কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ স্টোরেজ আপনি বিনামূল্যে পাবেন?
এজন্য আপনাকে প্রথমে প্লেবুক ডটকম (Playbook.com) ভিজিট যেতে হবে। এটি একটি ভিজ্যুয়াল ক্লাউড স্টোরেজ প্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনাকে আপনার জিমেইল আইডি দিয়ে লগইন করতে হবে। লগইন করার সঙ্গে-সঙ্গেই আপনি ১০০০ ফ্রি স্টোরেজ পেয়ে যাবেন।
অন্যদিকে, আপনার যদি ৪ টেরাবাইট স্টোরেজ দরকার হয়, তাহলে আপনাকে ওই প্ল্যাটফর্ম থেকে দ্বিতীয় অপশন অর্থাৎ আর্টিস্ট অ্যান্ড ডিজাইনার সিলেক্ট করতে হবে। এরপর এখান থেকে আপনাকে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে প্রবেশ করতে হবে। সেটি করা হয়ে গেলে আপনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি ইমেল পাবেন, যেখানে আপনি ৪০০০ জিবি স্টোরেজ পাওয়ার কথা বলা হবে।