সেলফোন, ট্যাবলেট, কম্পিউটার সবই বৈদ্যুতিক যন্ত্র বা ডিভাইস। বিভিন্ন কারণে এসব ডিভাইস চালু হওয়া থেকে শুরু করে ভালোভাবে কাজ না করার মতো সমস্যা হয়ে থাকে। আগের দিন ভালোভাবে কম্পিউটার চলার পর পরের দিন সকালে চালু না হওয়া আতঙ্কেরই বিষয়। তবে এতে খুব বেশি ভয় পাওয়ার কিছু নেই। হার্ডওয়্যার সমস্যা, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকা, সফটওয়্যার বাগের কারণে সমস্যা হয়ে থাকে। কম্পিউটার চালু না হলে প্রথম পর্যায়ে বেশ কিছু করণীয় বিষয় রয়েছে। গিজচায়নার প্রতিবেদন সূত্রে এগুলো সম্পর্কে জানা গেছে-
পাওয়ার সংযোগ যাচাই করা: কম্পিউটার চালু না হলে প্রথমেই পাওয়ার বা বিদ্যুৎ সংযোগ আছে কিনা তা দেখতে হবে। এজন্য কেবল, ল্যাপটপ চার্জার বা সার্চ প্রটেক্টর ডিভাইস পরীক্ষা করতে হবে। এগুলোর কোনোটায় সমস্যা থাকলে কম্পিউটার চালু হবে না। এগুলোর সমস্যা যাচাইয়ে অন্য মাল্টিপ্লাগে লাইন দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে। এর পরও কোনো সমাধান না পাওয়া গেলে পাওয়ার সাপ্লাই দেখতে হবে। ল্যাপটপ থাকলে পেছনে থাকা ব্যাটারি খুলে সরাসরি ডিসি পাওয়ার দিয়ে যাচাই করতে হবে।
পাওয়ার বা চার্জিং পোর্ট ক্ষতিগ্রস্ত কিনা তা যাচাই করা: কম্পিউটার চালু না হলে পাওয়ার পোর্ট একাধিকবার পরীক্ষা করতে হবে। ল্যাপটপের ক্ষেত্রে চার্জিং পোর্ট দেখতে হবে। চার্জারের পিন ভাঙা বা বাঁকানো থাকলে চার্জ হবে না। চার্জ দেয়ার জন্য সেটি পরিবর্তন করতে হবে। যদি সেখানে কোনো ময়লা থাকে তাহলে তা পরিষ্কার করে নিতে হবে।
মাদারবোর্ডের সমস্যা যাচাই ও সমাধান: কম্পিউটার চালু না হলে মাদারবোর্ড থেকে একাধিকবার বিপিং সাউন্ড এসে থাকে। এসব এরর কোডের সংক্ষিপ্ত বা তাৎক্ষণিক কোনো সমাধান নেই। বিপ সাউন্ড শোনার পর মাদারবোর্ডের ম্যানুয়াল দেখে সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। আধুনিক মাদারবোর্ডে ডিসপ্লে থাকে এবং সেখানে এরর কোড দেখানো হয়। গুগল থেকে কোড মিলিয়ে সমস্যা ও সমাধান পাওয়া সম্ভব।
কম্পিউটারের পাওয়ার বাটন যাচাই করা: পাওয়ার বাটন চাপার পর যদি কম্পিউটার চালু না হয়, মাদারবোর্ডে লাইট না আসে ও ফ্যান চালু না হয় তাহলে সেটি বাটনের সমস্যা। সমস্যা সমাধানে পাওয়ার বাটনের কেবল বাইরে এনে স্ক্রুড্রাইভার দিয়ে কম্পিউটার চালুর চেষ্টা করতে হবে। সমাধান না হলে মেরামতখানায় নিয়ে যেতে হবে।
মাদারবোর্ডের সিমস ব্যাটারি খুলে লাগানো: সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী কম্পিউটারের বয়স যদি পাঁচ বছরের বেশি হয় তাহলে মাদারবোর্ডে থাকা সিমস ব্যাটারি পরিবর্তন আবশ্যক। সিমস ব্যাটারি যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কম্পিউটার চালু হবে না। কিন্তু নতুন ব্যাটারি হলে সেটি খুলে ১০ সেকেন্ড পর পুনরায় বসিয়ে দেখতে হবে।
ইউএসবি ডিভাইসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা: কম্পিউটারের সঙ্গে বিভিন্ন এক্সটার্নাল ইউএসবি ডিভাইস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেগুলোও অনেক সময় কম্পিউটার স্টার্ট হওয়ায় সমস্যা তৈরি করে। ফলে এসব ডিভাইসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কম্পিউটার চালুর চেষ্টা করতে হবে।
উপরে বর্ণিত পদ্ধতিতেও যদি কম্পিউটার চালু না হয় বা সমস্যা থেকে যায় তাহলে দ্রুত মেরামতখানায় নিয়ে যাওয়া উচিত। ক্ষেত্রবিশেষে যারা এসব বিষয়ে খুব একটা জানেন না তাদের প্রথমেই বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।