জামিনে মুক্ত হলেন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল। গতকাল সোমবার বিকেলে কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে বের হন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাসেলের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের জেষ্ঠ্য আইনজীবী আহসানুল করিম।
চট্রগ্রামের এক গ্রাহকের করা চেক জালিয়াতির মামলার শুনানি শেষে সোমবার জামিনে মুক্ত হন রাসেল।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরুর পরপরই কম দামে পণ্য বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে সাড়া ফেলে অনলাইন মার্কেট প্লেস ইভ্যালি। তবে অর্থ দিয়েও পণ্য না পেয়ে গ্রাহকদের অসন্তোষ বাড়তে থাকে।
অভিযোগ বাড়তে থাকার মধ্যেই ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল ও তাঁর স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর চেক জালিয়াতি, টাকা দিয়ে পণ্য না পাওয়াসহ নানা অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে সারা দেশে অনেকগুলো মামলা হয়।
গত বছরের ৬ এপ্রিল শামীমা নাসরিন জামিনে মুক্ত হলেও কারাগারে ছিলেন রাসেল।
রাসেলের মুক্তিতে ইভ্যালির হাজার হাজার গ্রাহক তাদের অর্থ ফিরে পাওয়ার আশার সম্ভাবনা দেখছেন। গ্রাহকরা বলেন, যে কোনো কারণেই হোক ইভ্যালি পণ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাকে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কিন্তু আমরা ইভ্যালিকে সময় দিতে চাই। অতীতে আমরা দেখেছি, ডেসটিনির কর্তৃপক্ষকে গ্রেপ্তারের পরে গ্রাহকরা তাদের প্রাপ্য অর্থ ফেরত পাননি। আমরা মনে করি, ইভ্যালির সিইও-চেয়ারম্যান মুক্ত থাকলে আমাদের অর্থ ফেরত পাওয়ার আশা থাকবে বা তারা দেরিতে হলেও আমাদের পণ্য সরবরাহ করবে।
এক গ্রাহক বলেন, রাসেলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি বানোয়াট। সরকার দেরিতে হলো এটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।