দেশের বিভিন্ন আইটি ও আইটি সার্ভিস রপ্তানি আয় দেশে আসার প্রক্রিয়া এবং রপ্তানিকারকদের রপ্তানি প্রণোদনা পাওয়ার ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া সহজীকরণ বিষয়ক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ব্যংক।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, রপ্তানিকারকদের প্রতিনিধি ব্রেইন স্টেশন ২৩-এর রাইসুল করিব, এআর কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আসিফ রহমান।
ফ্রিল্যান্সারদের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন শরিফ মোহাম্মদ শাহাজাহান এবং অন্যান্য আইসিটি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা।
ক্যাশ ইন্সেন্টিভ এর প্রসেসিং টাইম নিয়ে বাংলাদেশ ব্যংকের প্রতিনিধিরা জানান, সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে এই প্রসেসিং টাইম অনেক আপডেটেড হয়েছে এবং ব্যাপারটিতে অটোমেশন ব্যবহার করা হয়েছে। বেসিস মেম্বারদের অনেকের ফাইল এখনো প্রক্রিয়াধীন। বাংলাদেশ ব্যংক বেসিস মেম্বারদের সব পেন্ডিং ফাইলগুলো কোরবানি ঈদের আগে শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
ফ্রিল্যান্সারদের প্রতিনিধি শরিফ মোহাম্মদ শাহাজাহান ক্যাশ ইন্সেন্টিভ প্রসঙ্গে বলেন, অতিরিক্ত ডকুমেন্টস চাপের কারণে এখন পর্যন্ত তেমন কেউই পাচ্ছে না। দেশের বাইরে থেকে প্রবাসীদের আয় যেভাবে আসে একইরকমভাবে ফ্রিল্যান্সার আয় আসা উচিত বলে মনে করি। কোনো ধরনের ডকুমেন্টস সাবমিশন ছাড়াই এটা করা সম্ভব।
এআর কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আসিফ রহমান বলেন, বেসিস মেম্বারদের সবগুলো পেন্ডিং ফাইলের ইনফরমেশন কোন ফরম্যাটে বাংলাদেশ ব্যাংককে দিতে হবে তা বেসিস সেক্রেটারিয়েটকে নিজ থেকে বুঝিয়ে দেবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে সেগুলো পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নেবে। ফরেন রেমিট্যান্স বাড়ানোর জন্য অবশ্যই ক্যাশ ইনসেন্টিভ আগের মতো ১০% হওয়া উচিত, এ নিয়ে পজেটিভ ক্যাম্পেইন হওয়া দরকার এবং ফাইল প্রসেসিং এর দীর্ঘসূত্রিতা কমানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।