: ১৮টি দেশের ২০০ জনের বেশি জ্যোতির্বিজ্ঞানী লো-ফ্রিকয়েন্সি ‘লোফার’ টেলিস্কোপ ব্যবহার করেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাকাশে প্রায় ৩ লাখ ছায়াপথ আবিষ্কার করে। সিএনএন, ডয়েচেভেলে
‘লোফার’ একটি সংবেদনশীল রেডিও সার্ভে। যার মাধ্যম মহাকাশরে যাবতীয় বিষয়গুলো সুন্দরভাবে ম্যাপ করা হয়। গবেষকরা এখানে দেখতে সক্ষম হয়েছেন কৃষ্ণ গহবর, ছায়াপথগুচ্ছ এবং চৌম্বক ক্ষেত্র ।
হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতিপদার্থবিদ মারকুস ব্রুগেন বলেন, লোফারের মাধ্যমে আমরা জানার চেষ্টা করেছি, ছায়াপথের যেখানে কৃষ্ণগহবর রয়েছে, সেখানে এটা থাকার কারণ কি?
গবেষক ফিলিপ বেস্ট বলেন, ছায়াপথগুচ্ছ দেখতে অনেকটা তারার স্তুপের মতো। যেখানে কয়েকলাখ ছায়াপথ একসাথে জ্বলজ্বল করছে। কখনও কখনও দুটো ছায়াপথ একত্রিত হয় এবং রেডিও তরঙ্গ তৈরী করে। যা কয়েক মিলিয়ন আলোকবর্ষ ধরে চলতে থাকে।
গবেষক ও’ সুলিভান বলেন, লোফার পরিমান করতে সক্ষম হয়েছে, মহাজাগতিক চৌম্বক ক্ষেত্র কতটুকু প্রভাব বিস্তার করে ১১ মিলিয়ন আলোকবর্ষ বড় ছায়াপথের রেডিও তরঙ্গের উপর ।
ছায়াপথ গুচ্ছ থেকে গবেষকরা এত বেশি তথ্য পেয়েছেন যা অন্তত এক কোটি ডিভিডিতে ধারণ করা যয়।
এম৫১ ঘূর্ণাবত ছায়াপথের সন্ধান পাওয়া গেছে যার অবস্থান পৃথিবী থেকে সাড়ে তিন কোটি আলোকবর্ষ দূরে। এর কেন্দ্রে রয়েছে বেশ বড় কৃষ্ণ গহবর।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ২৬ পৃষ্ঠার গবেষণাপত্র প্রকাশ করে বলেছেন, তাদের কাছে পুরো উত্তর আকাশের ছবি ধারণ করা আছে। যেখানে রয়েছে ১৫ মিলিয়ন রেডিও সোর্স। তারা আরো আশা করছেন, এই রেডিও সিগন্যালের মাধ্যমে শক্তিশালী কৃষ্ণগহবরের সন্ধান পাওয়া যাবে, পৃথিবী সৃষ্টির সময় যার অস্তিত্ব ছিলো।