হ্যারিটেজ অকশনে নিলামে উঠছে বিশ্বের প্রথম ডেস্কটপ মাইক্রো কম্পিউটার কিউ ওয়ান মডেল। লন্ডনের কিংস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোরেজ বক্সে সেখানকার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা এ গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির নিদর্শনটি খুঁজে পান। নিলামের তালিকায় কিউ ওয়ান লাইটকে কম্পিউটিং ইতিহাসের একটি বিরল ও মূল্যবান অংশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
কিউ ওয়ান মডেলটিতে রয়েছে কমলা রঙের স্ক্রিন ও একটি বিল্ট-ইন কিবোর্ড, যা সে সময়ে একটি কমপ্যাক্ট ডিজাইনের কম্পিউটার ছিল। কিউ ওয়ান লাইট কম্পিউটারটিতে ইন্টেলের ৮০০৮ প্রসেসর ও ট্রানজিস্টর-ভিত্তিক লজিক সার্কিট ব্যবহার করা হয়েছিল। এতে যেহেতু মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহার করেছিল, তাই কিউ ওয়ান বৃহত্তর সিস্টেমের চেয়ে উন্নত পারফরম্যান্স দেয়ার পাশাপাশি সহজে বহনযোগ্য ছিল। কিউ ওয়ান পেশাদার ও ব্যক্তিগত কম্পিউটিংয়ে বিপ্লব ঘটাতে মাইক্রো কম্পিউটারের সম্ভাবনার পথ দেখিয়েছিল।
হ্যারিটেজ অকশনের তথ্যানুযায়ী, কিবোর্ডে হালকা স্ক্র্যাচসহ রঙ কিছুটা মলিন হওয়া সত্ত্বেও কিউ ওয়ান ভালো কন্ডিশনে রয়েছে। এর সঙ্গে একটি ওয়ারেন্টি কার্ড রয়েছে, যা এর প্রমাণপত্র হিসেবে কাজ করবে। কিউ ওয়ানের অরিজিনাল প্রিন্টার ও কিউ ওয়ান লাইটের জন্য একটি পৃথক প্রিন্টারসহ নিলামে উঠেছে। এ নিলামটি ভিনটেজ কম্পিউটার সংগ্রহকারীদের প্রযুক্তি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি ডিভাইস পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। কিউ ওয়ান সংগ্রহের জন্য অনলাইন বিডিং চলতি মাসের ২৪ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে কিংস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোরেজ থেকে দুটি কিউ ওয়ান মডেল ডেস্কটপ মাইক্রো কম্পিউটার পাওয়া যায়। এরপর ক্রিয়েটিং দি এভরিথিং ডিভাইস শীর্ষক এক প্রদর্শনীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সেগুলো প্রদর্শন করা হয়। প্রদর্শনীটি সত্তর থেকে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত কম্পিউটিংয়ের বিবর্তনকে তুলে ধরা হয়েছিল।
কিংস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের সিনিয়র লেকচারার সমসাময়িক কম্পিউটিংয়ের বিবর্তনে কিউ ওয়ানের প্রভাব তুলে ধরেন। তিনি তখন বলেছিলেন, প্রাথমিক কম্পিউটারের স্বপ্নদর্শীরা ব্যক্তিগত কম্পিউটার ও স্মার্টফোনসহ আজকের প্রযুক্তির পথকে প্রশস্ত করেছিল।