প্রযুক্তির যুগ প্রতিদিন নতুন বাঁক নেয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) আধিপত্যের মধ্যে, কলের ক্ষেত্রে একটি নতুন সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বিশ্বের প্রথম ‘ইমারসিভ কল’ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে নকিয়া। এটি এমন একটি প্রযুক্তি যা ফোন কলে কথা বলার অভিজ্ঞতাকে পুরোপুরি বদলে দেবে। এটি এমনভাবে ভয়েস কোয়ালিটি উন্নত করে যে আপনি যখন কলে কথা বলা ব্যক্তির কণ্ঠস্বর শুনবেন, তখন মনে হবে সেই ব্যক্তিটি আপনার পাশেই আছে।
নকিয়া সিইও পেক্কা লুন্ডমার্ক ইমারসিভ ভয়েস এবং অডিও প্রযুক্তিকে ‘ভবিষ্যতের কল’ বলে অভিহিত করেছেন। লুন্ডমার্ক ১৯৯১ সালে প্রথম টুজি কলেরও সাক্ষী ছিল। এত বছর পরও বর্তমান ফোন কলের মান যতটা ভালো হওয়া উচিত নয়। আজও আমরা কারো সাথে ফোনে কথা বললে কলের আওয়াজই আলাদা। এটা জানা বেশ সহজ যে ‘ভয়েস’ একটি ফোন কল থেকে এসেছে, কারণ বর্তমান ফোন কল প্রযুক্তি শব্দকে দমন করে।
ইমারসিভ কলে থ্রিডি সাউন্ড উপভোগ করুন
ইমারসিভ কল আপনাকে থ্রিডি সাউন্ড উপভোগ করতে দেয়। এতে আপনার মনে হবে যে কলে আপনি যার সাথে কথা বলছেন তিনি ঠিক আপনার সামনে কথা বলছেন। নকিয়া টেকনোলজির প্রেসিডেন্ট জেনি লুকান্ডার বলেছেন, লাইভ ভয়েস কলিং অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে এটিই সবচেয়ে বড় অগ্রগতি কারণ আজকের স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারগুলোও মনোফোনিক টেলিফোন অডিও ব্যবহার করে৷
কনফারেন্স কলেও কাজে লাগবে
৫জি-তে ইমারসিভ কল করার জন্য নকিয়া একটি সাধারণ হ্যান্ডসেট ব্যবহার করেছে। কোম্পানির অডিও রিসার্চ হেড জিরি হুওপানেমির মতে, এই প্রযুক্তি কনফারেন্স কল করার ক্ষেত্রেও কার্যকর হতে পারে। অবস্থান ও পরিবেশের উপর নির্ভর করে কনফারেন্স কলে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের কণ্ঠস্বরের পার্থক্য থাকবে।
কীভাবে আমাদের ফোনে ইমারসিভ কল কাজ করবে?
যদি বিদ্যমান স্মার্টফোনে ইমারসিভ কল ব্যবহার করতে হয়, তাহলে কলটিতে রিয়েল-টাইম অভিজ্ঞতা এবং প্রভাব যোগ করতে ফোনে দুটি মাইক্রোফোন ইনস্টল করতে হবে। এর সাথে ভয়েস কোয়ালিটি একদম অরিজিনাল মনে হবে।
ইমারসিভ কলগুলো আসন্ন ৫জি অ্যাডভান্সডের অংশ। নকিয়া এর জন্য লাইসেন্স নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এই প্রযুক্তিটি আরও মানুষের কাছে অ্যাক্সেসযোগ্য করতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।