বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের প্রযুক্তি খাত। অথচ প্রযুক্তির এ সুফলকে ভালো কাজে ব্যবহার না করে ডিজিটাল মাধ্যমে সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রতারক চক্র। সিম কার্ড হ্যাকিংসহ এমন কোনো সেক্টর বাদ নেই যেখানে প্রতারক চক্র হানা দিয়ে অর্থ ও তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে না। তবে একটু সতর্ক থাকলে এই ধরনের প্রতারকদের হাত থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া সম্ভব।
সম্প্রতি নতুন ধরনের প্রতারণার কথা প্রকাশ্যে এসেছে। এর নাম সিম সোয়াপিং। মূলত সাইবার অপরাধীরা মুঠোফোন সংযোগের সিম কার্ড সোয়াপ করে অন্যের ফোন নম্বরের নকল বা দখল নিয়ে নেয়। কৌশলে সিম কার্ড নকল করার পর সেই ব্যক্তির বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের সুরক্ষাব্যবস্থা যেমন টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন বদলে ফেলে। তারপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ব্যক্তিগত তথ্যের দখল নেয় সাইবার অপরাধীরা আর যে ব্যক্তির সিমের দখল নেওয়া হয়েছে বা সিম সোয়াপ করা হয়েছে, তিনি সেটা সহজে বুঝতেও পারেন না।
সিম সোয়াপ প্রতারণার কারণ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন ধরনের প্রতারণামূলক টেকনিক ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের বিশ্বাস গড়ে তোলেন তারাই এই সিমের একমাত্র মালিক।
ডাটা প্রকাশ: ডাটা ব্রিচ করা সাইবার অপরাধীদের বিভিন্ন ভাবে প্রতারণা করতে সাহায্য করে।
ইনসাইডার থ্রেটস: অনেকক্ষেত্রে অপরাধীরা মোবাইল কোম্পানির কর্মীদের সাথে হাত মিলিয়েও ডাটা চুরি করে।
যে বিষয়গুলো দেখে বুঝতে হবে সিম সোয়াপ হয়েছে
*ফোনে যদি হঠাৎ নো সার্ভিস বা ইমার্জেন্সি কল অ্যানলি দেখায় তাহলে বুঝতে হবে ফোন হ্যাকিং হয়েছে।
*ফোন বা মেসেজ দিতে সমস্যা দেখা দিলে।
*বার বার কোনো অ্যাপে লগ-ইন বা ই-মেইল আসলে।
*সিম কার্ড চেঞ্জ করতে হবে এমন কোন মেসেজ আসলে।
*ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা অন্য কোনো অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে সমস্যা হলে।
যেভাবে নিরাপদ থাকবেন
*অ্যাকাউন্ট সিকিউরিটি বাড়াতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড বাড়াতে হবে।
*প্রতিটি ক্ষেত্রে সম্ভব হলে অ্যাকাউন্টে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন করতে হবে।
*অপরিচিত কোনো লিংকে ক্লিক না করা বা অপরিচিত মেসেজ না দেখা।
*অ্যাকাউন্ট মনিটর করতে নিয়মিত ব্যাংক, ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইত্যাদি চেক করা।
*আইডেন্টিটি প্রোটেকশন সার্ভিস ব্যবহার করা।
*ফোনে বা অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক কিছু দেখলে দ্রুত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা।