বাংলাদেশে চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক ৪জি চালু আছে। এদিকে প্রতিবেশি দেশ ভারতে পুরোদমে চলছে ৫জি। এবার তারা ৬জি চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
একাধিক গবেষণার ওপর ভিত্তি করে জানা গিয়েছে , ৬জি টেকনোলজি সংক্রান্ত পেটেন্ট ফাইলিংয়ের নিরিখে চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ স্থানের মধ্যে নিজের জায়গা পাকা করেছে এই ভারত।
দিল্লিতে ১৫ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অ্যাসেম্বলি (WTSA)-র আয়োজন করেছে ভারত। যেখানে ১৯০টি দেশের প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন।
এই অনুষ্ঠান অতিথি-অভ্যাগতদের এমন একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করবে, যেখানে ৬জি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এবং ভারতের বড়সড় ডেটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হবে। আর সবথেকে বড় কথা হচ্ছে, এশিয়ার মধ্যে প্রথম বার এই বৈঠক হচ্ছে।
৬টি দেশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ভারত
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্লোবাল পেটেন্ট ফাইলিংয়ের নিরিখে ভারত সেরা ছয়টি দেশের মধ্যে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। আর এটাকে ভারতের বড়সড় কৃতিত্ব হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ বিশ্বব্যাপী স্তরে প্রযুক্তির খাতে যে ভারত অগ্রসর হচ্ছে, সেটাই প্রমাণ করছে এই বিষয়টা।
বলে রাখা ভালো যে, এখনও পর্যন্ত ভারতে উচ্চ গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট বলতে রয়েছে ৪জি এবং ৫জি পরিষেবাই। বহু সংস্থাই এখনও গ্রাহকদের ৪জি ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ৬জি পরিষেবা উপলব্ধ নয়।
কারা এই WTSA-র আয়োজন করে?
ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (ITU) আয়োজন করে WTSA। এটা আসলে জাতিসংঘের একটা সংস্থা। যা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহারকে আরও অগ্রসর করে তোলে। ৬জি-র জন্য কেমন মানদণ্ডের প্রয়োজন হবে, সেই বিষয়ে আলোচনা করতেই অতিথিরা WTSA-তে অংশগ্রহণ করতে আসছেন।
মূলত মোবাইল নেটওয়ার্ক টেকনোলজি বা মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নেক্সট জেনারেশন হল ৬জি। যা অনেকটাই দ্রুতি গতি সম্পন্ন। এমনকি তা ৫জি-র তুলনায় আরও ভরসাযোগ্য হয়ে উঠবে। দ্রুত এবং সহজে কাজ করার জন্য ৬জি ব্যবহার করা যেতে পারে। আর ভারতের জন্য WTSA-র আয়োজন করার সুযোগ পাওয়া একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এটা বিশ্বব্যাপী স্তরে ভারতকে প্রযুক্তিগত নেতৃত্ব প্রদর্শনের সুযোগ করে দেবে। এখানেই শেষ নয়, এটা ভারতকে অন্যান্য দেশের সঙ্গে কোল্যাবোরেট করার সুযোগও প্রদান করবে। সেই সঙ্গে তৈরি হবে গ্লোবাল টেকনিক্যাল স্ট্যান্ডার্ডও।