ডিপফেক প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে মিথ্যা তথ্য, প্রতারণা ও ব্যক্তিগত তথ্য চুরি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বেশির ভাগ মানুষের কাছে এআই টুলস সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকা এসব অপকর্মের শিকার হওয়ার মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে গবেষণায়।
ডিপফেক হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি জাল ভিডিও ও ছবি, যা ভুল তথ্য ছড়াতে ও প্রতারণার সুযোগ তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়।
ব্রিটিশ প্রযুক্তি কোম্পানি আইপ্রুভের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, বেশির ভাগ মানুষ ডিপফেক ও বাস্তব কনটেন্টের পার্থক্য ধরতে পারে না। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই হাজার অংশগ্রহণকারী নিয়ে পরিচালিত এ পরীক্ষায় তাদের বাস্তব ও এআই-নির্মিত ছবি ও ভিডিও দেখানো হয়। এর মধ্যে দশমিক ১ শতাংশ অর্থাৎ শুধু দুজন সঠিকভাবে প্রকৃত ও নকল কনটেন্ট চিহ্নিত করতে পেরেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রবীণ ব্যক্তিরা এআই দিয়ে তৈরি ভুয়া কনটেন্টে সহজেই প্রতারিত হন। ৫৫-৬৪ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৩৯ শতাংশ আগে কখনো ডিপফেক সম্পর্কে শোনেননি। যদিও এ সময় তরুণরা ডিপফেক শনাক্ত করতে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, কিন্তু তাদের ফলাফল তেমন আশানুরূপ ছিল না।
আইপ্রুভ বলছে, ডিপফেক ভিডিও চিহ্নিত করা ছবির চেয়ে অনেক কঠিন। অংশগ্রহণকারীরা ভুয়া ছবি শনাক্ত করতে যতটা সফল হয়েছে, তার চেয়ে ৩৬ শতাংশের কম ক্ষেত্রে ভুয়া ভিডিও শনাক্ত করতে পেরেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভিডিও-ভিত্তিক প্রতারণা ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ার বিষয়টিও এ গবেষণায় উঠে এসেছে।
আইপ্রুভের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও অ্যান্ড্রু বাড বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্লাটফর্মগুলো ডিপফেক কনটেন্টের প্রধান উৎস। অপরাধীরা মানুষের আসল ও ভুয়া কনটেন্টের পার্থক্য বোঝার অক্ষমতাকে কাজে লাগাচ্ছে, যা ব্যক্তিগত তথ্য ও আর্থিক নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।’