স্পেসএক্সের মালিকানাধীন স্টারলিংক বর্তমানে বিশ্বের ৩৭টি দেশে স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করছে। গত বছরের শেষ নাগাদ তাঁদের গ্রাহক সংখ্যা ৪৬ লাখ ছাড়িয়েছে। স্পেসএক্সের মালিক ও সিইও ইলন মাস্ক প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে স্টারলিংকের পরিষেবা চালু করতে। নতুন সংযোগের জন্য প্রয়োজন নতুন ডিশ বা সংযোগ ডিভাইস। আর সে কারণেই স্টারলিংক তাঁদের ডিশ উৎপাদন বৃদ্ধি করে চলেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক ভিডিও’তে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির টেক্সাস ফ্যাক্টরিতে এখন প্রতিদিন ১৫ হাজার স্টারলিংক ডিশ তৈরি করা হয়।
টেক্সাসের বাসট্রোপে অবস্থিত এই ফ্যাক্টরির উৎপাদন ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করতে চায় স্পেসএক্স। সে লক্ষ্যে এ বছরই এই ডিশ ফ্যাক্টরিটির আয়তন ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ বর্গফুট বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। স্পেসএক্স সম্প্রতি তাঁদের বাসট্রোপ ফ্যাক্টরির বিহাইন্ড-স্য-সিন ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিও’তে দাবি করা হয়েছে যে, প্রতিদিন ফ্যাক্টরিটিতে ১৫ হাজার স্টারলিংক ডিশ তৈরি হয়। অর্থাৎ বছরে ৫৫ লাখ ডিশ তৈরি হচ্ছে এই ফ্যাক্টরিতে।
চলতি বছর ফ্যাক্টরিটির আয়তন ১০ লক্ষ বর্গফুটেরও বেশি সম্প্রসারণের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে স্পেসএক্স। ফলে আগামী বছর থেকেই এর উৎপাদন ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্যও তা-ই।
টেক্সাসের বাসট্রোপ ফ্যাক্টরিটি স্ট্যান্ডার্ড স্টারলিংক ডিশ তৈরি করে আসছে। উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কাঁচামাল হিসেবে প্লাস্টিক পেলেট ও অ্যালুমিনিয়াম প্রক্রিয়াজাত করে ডিশের হার্ডওয়্যার কেসিং (বাহ্যিক আবরণ) তৈরি করা হয়। স্পেসএক্সের ভিডিও’টিতে ডিশ উৎপাদনের পুরো প্রক্রিয়াটি তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, ডিশের ফেজড অ্যারে অ্যান্টেনা ও প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড (পিসিবি) তৈরিতে রোবোটিক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
ভিডিও’তে এও উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রথম দিকে স্টারলিংক ডিশ তৈরিতে খরচ হতো ৩ হাজার ডলার বা তার চেয়েও বেশি। ফলে ২০২৩ পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়ে ডিশ বিক্রি করতে হয়েছে স্টারলিংককে। এই সমস্যার সমাধানে ডিশ তৈরিতে উন্নত ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করে স্টারলিংক।
আর এ কারণেই পূর্ববর্তী প্রজন্মের স্টারলিংক ডিশ থেকে সরে এসে বর্তমান প্রজন্মের ডিশ তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি। টেক্সাসের এই ফ্যাক্টরিতে শুরু থেকেই উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ডিশ উৎপাদন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে ভিডিওটিতে।