‘শ্রমিক মালিক এক হয়ে, গড়বো এ দেশ নতুন করে’—এই শ্লোগানে গোটা দেশে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। তবে অন্য রকম এক দৃশ্যের সাক্ষী থাকলো বসুন্ধরা আবাসিকের প্রবেশমুখ, যেখানে জিপি হাউসের বাইরে চাকরিচ্যুত শতাধিক সাবেক কর্মী জড়ো হন ‘গ্রামীণফোন ৫% বিলম্ব বকেয়া আদায় ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে।
“চার হাজার আগ্নেয়গিরি”—হুঁশিয়ারি সাবেক কর্মীদের
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় লাল পোস্টার ও ব্যানারে সজ্জিত হয়ে সমাবেশ করেন আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবির মূল বক্তব্য:
- মুনাফার ৫% বিলম্ব জরিমানা আদায়
- অবৈধ ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদ ও পুনর্বহালের দাবি
- ২৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনার বিচার
সমাবেশে সাবেক কর্মীরা ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন: “আমরা জীবাশ্ম নই—চার হাজার জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি। যদি সরকার ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে মায়ানমারের মতো এখান থেকেও গুটিয়ে নিতে হতে পারে গ্রামীণফোনকে।”
শিশুসহ বিক্ষোভ, কেউ এসেছেন ক্র্যাচে ভর করে
গরম উপেক্ষা করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন আন্দোলনকারীরা। অনেকেই এসেছেন সন্তানসহ, কেউ আবার শরীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়েও আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন।
অভিযোগ: “দানব হয়ে উঠেছে গ্রামীণফোন”
- হঠাৎ ই-মেইল দিয়ে একদিনেই কর্মী বরখাস্ত
- নোটিশ ছাড়া ছাঁটাই
- মামলা ও হয়রানির অভিযোগ
- কোম্পানির বিরুদ্ধে কি বলছে গ্রাহক?
সাবেক কর্মীরা দাবি করেন: “১০০ জনের মধ্যে ৯০ জন গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। তারা নিজেদের দেশের একমাত্র ‘কমপ্লায়েন্স কোম্পানি’ দাবি করলেও বাস্তবে তারা শ্রমিক শত্রু।”
সরকারের প্রতি আহ্বান
বক্তারা গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্ত করতে এবং ন্যায্য দাবিগুলো দ্রুত মীমাংসা করতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। একইসঙ্গে তারা বলেন, “আমাদের দাবি অনুদান নয়—অধিকার।”