একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ কতটি সিম রাখতে পারবেন—সে বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এবার একজন গ্রাহকের নামে সর্বোচ্চ ১০টি মোবাইল সিম নিবন্ধনের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগে একজন গ্রাহক ১৫টি সিম নিবন্ধন করতে পারতেন, যা এখন কমিয়ে আনা হলো। বিটিআরসি বলছে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক অনুশীলন, জাতীয় নিরাপত্তা এবং দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে।
বন্ধ হবে অতিরিক্ত সিম
নতুন সীমা কার্যকর হলে প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহকের মোট ৬৭ লাখ সিম বন্ধ করতে হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এর ফলে বিটিআরসির হিসাব মতে, যেসব গ্রাহকের নামে ১০টির বেশি সিম রয়েছে, তাদের অতিরিক্ত সিমগুলো ডি-রেজিস্টার (বাতিল) করা হবে।
পেছনের প্রেক্ষাপট
২০১৭ সালের অক্টোবরে একজন ব্যক্তির নামে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধনের সীমা চালু করা হয়। এরপর ২০২২ সালে বিটিআরসি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়—যেসব গ্রাহকের ১৫টির বেশি সিম রয়েছে, তারা যেন অপ্রয়োজনীয় সিম ডি-রেজিস্টার করেন।
পরবর্তীতে বিটিআরসি লটারির মাধ্যমে অতিরিক্ত সিমগুলো বন্ধ করে দেয়। এবার সেই সীমা আরও কড়াকড়িভাবে কমিয়ে ১০টিতে নামিয়ে আনা হলো।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
বিটিআরসির এক কর্মকর্তা জানান, “অনেক গ্রাহক একাধিক সিম ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হচ্ছেন। জাতীয় নিরাপত্তা ও সাইবার ঝুঁকি বিবেচনায় সংখ্যাটি ১০-এ নামিয়ে আনা হচ্ছে।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত সিম ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনবে, তবে ব্যবসায়িক বা কর্পোরেট ব্যবহারকারীদের জন্য আলাদা নীতিমালা প্রণয়ন দরকার।