স্মার্টফোনের মতো ফোল্ডেবল ল্যাপটপের ধারণাটি এখনো খুব একটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। ‘কম্পিউটেক্স ২০২৫’ প্রযুক্তি ইভেন্টে গত সপ্তাহে হুয়াওয়ে মেটবুক ফোল্ড আলটিমেট নামে এমন একটি বিশেষ ল্যাপটপ প্রদর্শন করেছে।
ডিভাইসটি একটি ফোল্ডেবল ডিসপ্লেযুক্ত ল্যাপটপ, যার স্ক্রিন ভাঁজ করা যায়। বাজারে এমন ল্যাপটপ এখনো খুব বেশি দেখা যায় না।
আসুস ও হুয়াওয়ের মতো হাতে গোনা কয়েকটি ব্র্যান্ডই এখন পর্যন্ত এ ধরনের নোটবুক বাজারে এনেছে। এবার অ্যামাজনের পক্ষ থেকেও একটি ফোল্ডেবল ল্যাপটপ আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর গিজচায়না।
অ্যাপল বিশ্লেষক হিসেবে পরিচিত মিং-চি কুয়ো সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার এক পোস্টে জানিয়েছেন, অ্যাপলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে বড় সাইজের ফোল্ডেবল ডিভাইস নিয়ে কাজ করছে। কেবল হুয়াওয়ের নতুন মেটবুক ফোল্ড আলটিমেট ডিজাইন নয়, বরং এ তালিকায় অ্যামাজনের নামও যুক্ত হচ্ছে।
যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা করা হয়নি, তবে অ্যামাজন বর্তমানে একটি ফোল্ডেবল ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছে বলে দাবি করেছেন মিং-চি কুয়ো। তিনি বলেন, ‘যদি সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোয়, তবে ২০২৬ সালের শেষ দিকে অথবা ২০২৭ সালের মধ্যে ডিভাইসটির উৎপাদন শুরু হতে পারে। অর্থাৎ অ্যামাজনের ফোল্ডেবল ল্যাপটপ বাজারে আসতেও খুব বেশি দেরি নেই।’
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সময়ের মধ্যে বাজারে আরো ফোল্ডেবল ল্যাপটপ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, ফোল্ডেবল ল্যাপটপে আলাদা করে স্ক্রিন ও কিবোর্ড থাকে না, বরং একটিই বড় টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে থাকে। ফলে পুরো স্ক্রিনটি ভাঁজ করা যায়। এখনো প্রযুক্তিটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তাই এর দাম বেশি ও মডেলও কম। যেমন সম্প্রতি উন্মোচিত হুয়াওয়ের মেটবুক ফোল্ডের ৩২ জিবি র্যাম ও ১ টেরাবাইট স্টোরেজ সংস্করণটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় ৪ লাখ টাকার বেশি)।
এছাড়া ২০২২ সালে বাজারে আসা আসুসের ফোল্ডেবল ল্যাপটপটির প্রারম্ভিক মূল্য ছিল ৩ হাজার ৫০০ ডলারের মতো।
তবে আগামীতে এগুলো আরো উন্নত ও জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।