গত কয়েক বছরে বাজারে দ্রুতগতির বাইক এসেছে যা কিনতে গেলে বাইকপ্রেমিরা পেট্রলের ভয়ে পিছিয়ে আসতে হবে না৷ কারণ পেট্রল নয় এই দ্রুতগামী বাইক চলবে হাওয়াতে৷ শুনতে অবাক লাগলেও এই অসাধ্য সাধনই করেছেন লখনউয়ের এক বিজ্ঞানী৷ ইতিমধ্যেই এটি পরীক্ষায় সফলও হয়েছে৷
জানা গিয়েছে, লখনউয়ের এই বিজ্ঞানী প্রায় ৯ বছর আগে এই এয়ার ইঞ্জিন আবিষ্কার করেছিলেন৷ তাঁর এই আবিষ্কারের পিছনে বড় ভূমিকা পালন করেছিল গ্লোবাল ওয়ার্মিং৷ সেই সঙ্গে ছিল আমজনতার টাকার সমস্যা৷ এয়ার-ও-বাইক প্রস্তুতকারকরা মনে করেন, জ্বালানি বাঁচবে, গ্লোবাল ওয়ার্মিং সমস্যা কিছুটা হলেও কমবে, আবার আমআদমির আর্থিক সাশ্রয় হবে৷
এই নয়া এয়ার-ও-বাইক নির্মাণের পিছনে ভারত রাজ সিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বলে জানা যায়৷ বর্তমানে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর পদে রয়েছেন বিআর সিং৷ তিনি জানান, তাঁর এই আবিষ্কার যখন রাস্তায় নামবে তখন দূষণে প্রায় ৫০ শতাংশ রাশ টানা সম্ভবপর হবে৷
এই আবিষ্কারের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য, পেট্রল-ডিজেলের পরিবর্তে, জ্বালানি বাঁচানোকে অনেকেই বাহবা দিচ্ছেন৷ এর ইঞ্জিনের খরচও বেশ কম বলে জানা গিয়েছে৷ অ্যালুমিনিয়ামের সিলিন্ডার বানিয়ে এয়ার-ও-বাইকে তা লাগানো হয়েছে৷ সবথেকে প্রথমে এই আবিষ্কারকে টু হুইলারে কাজে লাগানো হয়েছে৷ এতে ৫ টাকার হাওয়াতে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত যাওয়া যাবে৷
হাওয়াতে চললেও এতে বাইকের স্পীডে কোনও প্রভাব পড়বে না৷ এয়ার-ও-বাইক ঘন্টায় ৭০-৮০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে৷ ভারত রাজ সিং তার এই আবিষ্কারের অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাবও পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷