ইলেকট্রিক গাড়ির সংখ্যা দ্রুতগতিতে বাড়ছে এদেশে । জনপ্রিয় সব কোম্পানির ইলেকট্রিক গাড়ি এখন বাজারে পাওয়া যায়। তবে এই ইলেকট্রিক গাড়ির মধ্যে ই-স্কুটারের সংখ্যাই বেশি। আপনিও যদি বাজারে উপলব্ধ বিভিন্ন কোম্পানির ই-স্কুটার দেখে কেনার জন্য ভেবে থাকেন, তবে এই ৫ টি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখুন।
রেঞ্জ :
ইলেকট্রিক গাড়ির রেঞ্জ অর্থাৎ একবার চার্জ দিলে গাড়িটা কত কিলোমিটার পর্যন্ত চলে। ইলেকট্রিক গাড়ি বা ই-স্কুটার কেনার আগে অবশ্যই মাথায় রাখুন এই গাড়িটি দিনে কত কিমি পথ যেতে পারবে। এটি আপনার প্রয়োজন মেটাতে পারবে কিনা। বাজারে এখন ৬০-১২০ কিলোমিটার রেঞ্জের ই-স্কুটার উপলব্ধ।
ব্যাটারি :
ইলেকট্রিক স্কুটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ব্যাটারি। কারণ গাড়িগুলো ব্যাটারির সাহায্যেই চলে। তাই আপনার গাড়ির ব্যাটারি যত শক্তিশালী হবে তত বেশি রেঞ্জ যাবে। এছাড়াও যে ইলেকট্রিক স্কুটার বা ই-যান আপনি কিনছেন তাতে যেন ওয়াটারপ্রুফ, শক প্রুফ এবং ব্যাটারি বদলে র ফিচার উপলব্ধ থাকে।
সার্ভিস :
পেট্রোল বা ডিজেল চালিত যানবাহনগুলো আপনি যেকোনো মেকানিকের কাছে গিয়ে ঠিক করিয়ে নিতে পারেন। তবে ইলেকট্রিক গাড়িগুলোর ক্ষেত্রে কিন্তু তা হয়না। ইলেকট্রিক গাড়ীর কোনও ত্রুটি থাকলেই আপনাকে অফিসিয়াল সার্ভিস সেন্টারে যেতে হতে পারে। এই কারণে কোনও ইলেকট্রিক স্কুটার বা ই-গাড়ি কেনার আগে, কোম্পানির সার্ভিস পলিসি এবং ওয়ারেন্টি জেনে নিন। এছাড়াও সংস্থাটি খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি করে কিনা তাও অনুসন্ধান করুন।
আপনার প্রয়োজন আছে কিনা :
বাজারে বিভিন্ন ইলেকট্রিক গাড়ি দেখতে পাচ্ছেন এবং আপনার পড়শি বা বন্ধু এই গাড়ি কিনেছে মানে আপনাকেও কিনতে হবে এমন কিন্তু নয়। আগে আপনি নিশ্চিত হোন এই গাড়ি আপনার প্রয়োজন আছে কিনা। আবার এটাও মাথায় রাখুন আপনাকে প্রতিদিন কাছাকাছি কোথাও যেতে হয় নাকি দূরে যেতে হয়। এটাও ভাবুন আপনি প্রতিদিন এই গাড়ি চার্জ করতে পারবেন কিনা? মনে রাখবেন ইলেকট্রিক স্কুটার কিন্তু ব্যাপক ব্যবহারের জন্য কখনোই কেনা উচিত নয়।
দাম :
ইলেকট্রিক স্কুটারের দাম তুলনামূলক ভাবে বেশি থাকে। কারণ এতে হাই টেক ফিচার ব্যবহার করা হয়। আপনি সেই দামে অনেক ভালো ভালো সাধারণ বাইক বাজারে পেয়ে যেতে পারেন। এবার প্রয়োজন বুঝে সিদ্ধান্ত নিন আপনি ইলেকট্রিক স্কুটার কিনবেন কিনা।