প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে যৌন হয়রানির প্রতিকারে ব্যর্থতার অভিযোগে বিদায় নিতে হয়েছিল সিইও ও সহ প্রতিষ্ঠাতা ট্রাভিস কালানিককে। এবার সেই প্রশ্নে নতুন সিদ্ধান্ত জানালো উবার।
প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন এমন ব্যক্তিদেরকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে অর্থ পরিশোধ করবে রাইড-হেইলিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি।
যৌন হয়রানি বিষয়ে বিদ্যমান অভিযোগগুলো সরকারি তদন্তের মাধ্যমে মীমাংসা করতে উবার ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন ফেডারেল কমিশন– খবর আইএএনএস-এর।
বুধবার মার্কিন ইকুয়াল এমপ্লয়মেন্ট অপরচুনিটি কমিশন (ইইওসি)-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, “২০১৪ সালের ১ জানুয়ারির পর থেকে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দিতে ৪৪ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল বানাবে উবার।”
২০১৭ সালে কমিশনের করা এক মামলা মীমাংসায় এই চুক্তি করা হয়েছে। মামলায় ইইওসি’র দাবি ছিল, “যেসব ব্যক্তি হয়রানি নিয়ে অভিযোগ করেন তাদের ওপর যৌন হয়রানি বা প্রতিশোধ নেওয়ার সংস্কৃতির অনুমোদন দেয় উবার।”
যেসব কর্মী যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন এবং যেসব ব্যবস্থাপক এই বিষয়গুলোতে যথাসময়ে পদক্ষেপ নেননি তাদেরকে শনাক্ত করতে একটি ব্যবস্থাও বানাবে রাইড-হেইলিং প্রতিষ্ঠানটি।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে যৌন হয়রানির ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া ও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে উবার। এমনকি প্রতিষ্ঠানের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে কোনো ব্যবস্থা নেননি উবার সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সে সময়ের সিইও ট্রাভিস কালানিক। বন্ধুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতার অভিযোগে কালানিককে ২০১৭ সালের জুন মাসে সিইও পদ থেকে সড়ে দাঁড়াতে হয়।
প্রতিষ্ঠানে কাজের পরিবেশ উন্নত করতে তৃতীয় পক্ষের একজন প্রতিনিধি তিন বছর উবারে নজরদারি করবেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইইওসি স্যান ফ্রান্সিসকো ডিসট্রিক্ট ডিরেক্টর উইলিইয়ান তামায়ো বলেন, প্রায়ই প্রযুক্তি খাতে যৌন হয়রানির অভিযোগ এড়িয়ে যাওয়া হয়। বিশেষ করে “যখন যৌন হয়রানির শিকার ব্যক্তির চেয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছে বেশি মূল্যবান হয়।”