দীর্ঘক্ষণ চলন্ত গাড়িতে বসে আছেন আপনি, তখন যদি আপনার মস্তিষ্ক জানায় যে আসলে আপনি হাঁটছেন, তাহলে তা অদ্ভুত, তাই না?
জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার কোম্পানি নিয়ে এসেছে এমনই এক অত্যাধুনিক সিট। অদূর ভবিষ্যতে গাড়ির জন্য এই সিট ভিন্ন এক মাত্রা যোগ করতে চলেছে।
বৃটিশ এই গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি চাচ্ছে দীর্ঘক্ষণ গাড়িতে বসে থাকার ফলে যাত্রীর শারীরিক যেসব সমস্যা হতে পারে, তা ঠেকাতে। বৃটেনের ডিপার্টমেন্ট ফর ট্রান্সপোর্ট জানিয়েছে, বৃটেনের গাড়ি চালকরা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ২৩৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন। এতে চালক বা যাত্রীর শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দেয়া স্বাভাবিক।
কোম্পানিটির নতুন উদ্ভাবিত সিটের ফোমে থাকা ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ চালক বা যাত্রীর দুই পায়ে পর্যায়ক্রমে উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে, ফলে যাত্রীর মনে হবে যে তিনি দীর্ঘক্ষণ গাড়িতে বসে নেই, বরং হাঁটছেন। এ পরিস্থিতিতে ‘পেলভিক ওসিলেশন’ বলা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১.৪ বিলিয়ন মানুষ সেডেটারি লাইফস্টাইলে অর্থাৎ অফিস বা বাসায় চেয়ারে বসে কাজ করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। দীর্ঘক্ষণ এভাবে বসে থাকার ফলে মানুষের পা ও কোমরের মাংসপেশির উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে, যার ফলে ব্যাক পেইনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে বেশি।
এ অবস্থায় জাগুয়ার রোভারের বডি ইন্টেরিয়রস রিসার্চ ডিভিশন দাবি করছে, তাদের বিশেষ ভাবে তৈরি নতুন এই সিট দীর্ঘক্ষণ ভ্রমণের সময় যাত্রীদের শারীরিক সমস্যা অনেকাংশেই কমাতে সহায়তা করবে। গাড়িটি কতো গতিতে চলছে, তা কোনো সমস্যা তৈরি করবে না এবং বিশেষ এই সিট যেকোনো গাড়ির চালক বা যাত্রীর জন্যই উপযোগী বলছে কোম্পানিটি।
জাগুয়ার ল্যান্ড রোভারের চিফ মেডিকেল অফিসার স্টিভ লেই বলেছেন, ‘কাস্টমার ও কোম্পানির কর্মকর্তাদের শারীরিক সুস্থতা বিবেচনা করাই আমাদের প্রযুক্তিগত গবেষণা প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। আমরা আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতা ও নতুন উদ্ভাবনীকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের জন্য এমন সিট তৈরি করছি, যা গাড়ি তৈরির ইতিহাসে আগে দেখা যায়নি।’