সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর জন্য এবং পরিবেশ সুরক্ষিত রাখতে ট্রাফিক আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। জারি করা হয়েছে নতুন কিছু সুরক্ষা নিয়মাবলি। ভারতে এবার থেকে ১৫০ সিসির উপরের বাইকে অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম অর্থাৎ এবিএস সিস্টেম দেওয়া বাধ্যতামূলক। আবার ১৫০ সিসির নিচের বাইকে সিবিসি অর্থাৎ কম্বি ব্রেকিং সিস্টেম থাকা বাধ্যতামূলক। এই প্রতিবেদনে আমরা এই ধরনের ব্রেকিং সিস্টেম যুক্ত ‘সবচেয়ে সুরক্ষিত’ বাইক সম্পর্কে জানবো।
১. বাজাজ পালসার নিয়ন এবিএস
বাজাজ পালসার নিয়নে রয়েছে ১৪৯ সিসির ইঞ্জিন। সঙ্গে থাকছে ১৪ পি এস এর পাওয়ার এবং ১৩.৬ ন্যানো মিটারের টর্ক। এই বাইকের টপ স্পিড ১১২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা এবং ৬৫ কিলোমিটারের মাইলেজ নিয়ে এই বাইক আপনার মন কাড়তে বাধ্য। এই বাইকে ৫ স্পিড গিয়ার বক্স এবং সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সিস্টেম আছে। ভারতে এই বাইকের এক্স-শোরুমে দাম ৯০ হাজার ৩০০ রুপি।
২. বাজাজ অ্যাভেঞ্জার ১৬০
এই বাইকের বিএস৬ ভ্যারিয়েন্টে আপনি পাবেন ১৬০ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ফুয়েল ইনজেকশন টেকনোলজি এর সঙ্গে এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন ১৪.৫ বিএইচপি পাওয়া এবং ১৩.৭ ন্যানো মিটারের টর্ক জেনারেট করতে পারে। এই বাইকে থাকছে ৫ স্পিড গিয়ার বক্স এবং সিঙ্গেল ডিস্ক ব্রেক ও সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সিস্টেম। বাইকে সাসপেনশন এর সঙ্গে সামনে দেওয়া হয়েছে ২৮০ মিলি মিটারের ডিস্ক ব্রেক ও পিছনে আছে ১৩০ মিলি মিটারের ড্রাম ব্রেক। এই বাইকের এক্স-শোরুমে দাম ৯৫ হাজার ৮৯০ রুপি।
৩. হোন্ডা ইউনিকর্ন ১৬০
এই বাইকে বিএস৬ কমপ্লায়েন্স যুক্ত ১৬২.৭ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুলড ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে। এখানে ফুয়েল ইঞ্জেকশন এবং হোন্ডা ইকো টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে। এই ইঞ্জিন ১৩ পিএস এর পাওয়ার এবং ১৪ ন্যানো মিটারের টর্ক জেনারেট করতে পারে। এই ইঞ্জিনে আপনি আগের বিএস ৪ ইঞ্জিনের চেয়ে বেশি মাইলেজ পাবেন। এই নতুন ইঞ্জিনে কাউন্টার ওয়েট ব্যালেন্সার টেকনোলজি দেওয়া হয়েছে, যার ফলে আপনি গতি বাড়ালে আপনার বাইকের ভাইব্রেশন কম হবে। তবে এই ইঞ্জিন যুক্ত বাইকের দাম আগের মডেলের চেয়ে ১৩ হাজার ৫০০ রুপি বেশি এবং এই বাইকে নতুন এবিএস ফিচার দেওয়া হয়েছে। এই বাইকের এক্স-শোরুমে দাম ৯৩ হাজার ৫০০ রুপি।
৪. টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০
এই বাইকে থাকছে ১৫৯.৭ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪ স্ট্রোক, ২ ভালভ, এয়ার কুলড এসআই ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন ৮,৪০০ আরপিএম এ ১৫.৫৩ পিএস এর পাওয়ার এবং ৭,০০০ আরপিএম গতিতে ১৩.৯ ন্যানো মিটারের টর্ক জেনারেট করতে পারে। এই ইঞ্জিনে ৫ স্পিড গিয়ারবক্স দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এই বাইকের ফুয়েল ট্যাংক ১২ লিটারের। এই বাইকের দৈর্ঘ্য ১,১০৫ মিলিমিটার, প্রস্থ ২,০৮৫ মিলি মিটার এবং উচ্চতা ৭৩০ মিলিমিটার। এই বাইকের গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৮০ মিলি মিটার। এই বাইকে সামনে ২৭০ মিলি মিটারের ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনে ২০০ মিলি মিটারের ডিস্ক ব্রেক দেওয়া হয়েছে। এই বাইকের এক্স-শোরুমে দাম ৯৮ হাজার ৯০০ রুপি।
৫. হিরো এক্সট্রিম ১৬০ আর
১৬৬ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ওএইচসি, ২ ভালভ, ৪ স্ট্রোক, এয়ার কুল্ড, অ্যাডভান্সড প্রোগ্রাম ফুয়েল ইঞ্জেকশন, বিএস ৬ ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে এই বাইকে। এই ইঞ্জিন ৮,৫০০ আরপিএম গতিতে ১৫ বিএইচপি এর পাওয়ার এবং ৬,৫০০ আরপিএম গতিতে ১৪ ন্যানো মিটার টর্ক জেনারেট করতে পারে। এই বাইকে ৫ স্পিড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন দেওয়া হয়েছে। বাইকের দৈর্ঘ্য ২,০২৯ মিলি মিটার, প্রস্থ ৭৯৩ মিলি মিটার এবং উচ্চতা ১,০৫২ মিলি মিটার। এই বাইকের গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৬৭ মিলি মিটার এবং এই বাইকের সিটের উচ্চতা ৭৯০ মিলি মিটার। হিরো এক্সট্রিম ১৬০আর বাইকের সামনে ২৭৬ মিলি মিটারের পেটাল ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনে ২২০ মিলি মিটারের পিটার ডিস্ক ব্রেক দেওয়া হয়েছে। যদিও আপনারা ড্রাম ব্রেক অপশনও বেছে নিতে পারবেন। এই বাইকের সামনে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সিস্টেম দেওয়া হয়েছে। এই বাইকের এক্স-শোরুমে দাম ৯৯ হাজার ৫০০ রুপি।