গাড়ি-নির্মাণ শিল্প জার্মানির অর্থনীতির একটি প্রধান স্তম্ভ। আধুনিক গাড়ি তৈরিতে দেশটি রয়েছে বিশ্বের প্রথম সারিতে। এবার এ বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে বার্লিন। চিরায়ত মোটরগাড়ির বাজার এবার রূপ নিতে যাচ্ছে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০২১ সালেই দেশটিতে বৈদ্যুতিক যানবাহনের উৎপাদন দশ লাখ ইউনিট ছাড়াতে চলেছে। এই সাফল্যের কারণে দেশটির সরকার বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণে সহায়তার পরিমাণ বাড়াচ্ছে। সম্প্রতি দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি ভিডিও তৈরি করেছেন। ওই ভিডিওতে তিনি বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনে জনগণের সমর্থন কামনা করেন। সেই সঙ্গে, ২০৩০ সাল নাগাদ এসব গাড়ির জন্য ১০ লাখ চার্জিং পয়েন্ট নির্মাণেরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ৪শ কোটি ইউরোর একটি ভর্তুকি কার্যক্রমও চালু করেছে দেশটি। এই কার্যক্রমের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি ব্যাটারিচালিত বৈদ্যুতিক গাড়ি ১০ হাজার ইউরো করে ভর্তুকি পাবে। এর অর্ধেক দেবে সরকার আর বাকি অর্ধেক গাড়ি নির্মাণকারী কোম্পানি।
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণের এই বিপ্লব কেবল খরচই কমাবে না, পরিবেশ রক্ষায়ও অবদান রাখবে।
আইনজীবীক্রিস্টোফ কিস্টলার বলেন, ‘বৈদ্যুতিক যানবাহনে জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ তুলনামূলকভাবে কম। এই শিল্পে চীন ইতোমধ্যেই সাফল্য পেয়েছে। উদাহরণ হিসেবে “নিও” গাড়িটির কথা বলতে পারি যার ব্যাটারি মাইলেজ প্রায় এক হাজার কিলোমিটার।’
গাড়ি নির্মাণ শিল্পের এই নতুন বিপ্লবে যোগ দিয়েছে বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ভক্সওয়াগনও। প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে, ২০৩০ সাল নাগাদ তাদের নতুন উৎপাদনের ৪০ শতাংশই হবে বৈদ্যুতিক গাড়ি। আর এই লক্ষ্যে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটির আটটি কারখানা।