বিদ্যুতচালিত গাড়িকে চলমান অবস্থায় সড়ক চার্জ করে দেবে এমন ধারণা নতুন নয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ প্রযুক্তিটি তুলনামুলকভাবে ব্যবয়বহুল এবং অকার্যকর ধাপেই রয়ে গেছে। তবে, সে অবস্থা বদলে দেওয়ার জন্য পরীক্ষা চালাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা’র ‘ডিপার্টমেন্ট অফ ট্রান্সপোর্টেশন’ (আইএনডিওটি) এর গবেষকরা।
আইএনডিওটি জানিয়েছে, নতুন ধরনের সিমেন্ট পরীক্ষা করছে সংস্থাটি। ওই সিমেন্টে চৌম্বকীয় কণা রয়েছে যা একটা সময় গিয়ে কার্যকরী প্রমাণিত হতে পারে। অটোব্লগের বরাত দিয়ে এনগ্যাজেট এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, মানসম্পন্ন সড়ক নির্মাণ খরচেই দ্রুতগতিতে গাড়ি চার্জ করা হবে এ প্রক্রিয়ায়।
এ গবেষণার খরচের যোগান দিয়েছে ‘ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন’ (এনএসএফ)। নিজেদের কাজ সম্পন্ন করতে পার্ডু ইউনিভার্সিটির সঙ্গে জোট বেঁধেছে আইএনডিওটি। সবমিলিয়ে তিন ধাপে পরীক্ষা সম্পন্ন হবে। প্রথমে ম্যাগমেন্ট নামের ওই চৌম্বকীয় সিমেন্টের কার্যকারিতা গবেষণাগারে পরীক্ষা করে দেখা হবে। এরপর তৈরি করা হবে সিকি মাইল দীর্ঘ রাস্তা (০.৪০ কিলোমিটার)।
আর তৃতীয় ধাপে দুইশ’ কিলোওয়াট বা তার চেয়ে বেশি উচ্চ ক্ষমতার ভারী ট্রাক অভিনব কংক্রিটের মাধ্যমে চার্জ করার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছে আইএনডিওটি।
ম্যাগমেন্টের এক প্রচারপত্রে লেখা রয়েছে, তাদের পণ্য “৯৫ শতাংশ পর্যন্ত রেকর্ড ভেঙে দেওয়া তারবিহীন প্রেরণ কার্যকারিতায়” কাজ করবে। এটি “মানসম্পন্ন সড়ক নির্মাণ খরচে তৈরি করা সম্ভব এবং এটি শক্তিশালী এবং ভেঙে যাওয়া প্রতিরোধী” বলেও উল্লেখ করেছেন তারা। এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখ করেছে, স্থাপিত ফেরাইট কণার স্ল্যাব সম্ভবতঃ অনুমোদন নিয়ে স্থানীয়ভাবে তৈরি করা যাবে।
সরাসরি সড়ক থেকে কোনো দূষণ ছাড়াই সাম্রয়ী মূল্যে ট্রাক চার্জ করা সম্ভব হলে পরিবেশগত দিক থেকে নতুন মাইলফলক অর্জিত হবে। কিন্তু এখনও এটি বাস্তবায়নে অনেকগুরো ধাপ বাকি। একই ধরনের অন্যান্য প্রচেষ্টা চলছে বিভিন্ন দেশে। যুক্তরাজ্যও কিছুদিন আগে সড়ক চার্জিং গবেষণার জন্য প্রায় ৭৮ কোটি ডলার তহবিল বরাদ্দ করেছে। সুইডেনও ‘স্লট-কার’ প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখেছে। এ প্রক্রিয়ায় সড়কে বিদ্যুতায়িত ‘রেইল’ স্থাপন করা হয়।