অ্যামাজন (Amazon)-এর মালিকানাধীন অটোনোমাস ভেহিকেল স্টার্টআপ, জুক্স (Zoox) সিয়াটেলের বর্ষাস্নাত রাস্তায় তাদের স্বয়ংক্রিয় গাড়ির পরীক্ষা শুরু করবে বলে জানিয়েছে। আগামী বছর সিয়াটেলে একটি অফিস ও একটি অপারেশন ফেসিলিটি খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে সংস্থাটি।
২০১৯-এ লাস ভেগাসে প্রকাশ্য রাস্তায় জুক্সের স্বয়ংচালিত গাড়ির প্রথম টেস্টিং শুরু হয়েছিল। তার পরে সান ফ্রান্সিসকো এবং ফস্টার সিটিতে গাড়িগুলির রোড টেস্টিং করা হয়। কিন্তু সান ফ্রান্সিসকোতে বৃষ্টির পরিমাণ নগন্য৷ আবার লাস ভেগাসে তা আরও কম। যার ফলে জুক্স সামনের বছর থেকে সিয়াটেলে তাদের স্বয়ংক্রিয় বা চালকবিহীন গাড়ির পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে।
বর্ষা বা কুয়াশায় স্বয়ংক্রিয় গাড়ির কর্মক্ষমতা কমে যায় বলে গবেষকরা লক্ষ্য করেছেন। বৃষ্টি, তুষারপাত-সহ নানা প্রাকৃতিক কারণে চালকবিহীন গাড়ির সেন্সর, ক্যামেরা, এবং লিডার প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে। এর ফলে সিগন্যাল বা রাস্তার সাইনবোর্ডের নানা গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন পড়তে বা বুঝতে অসুবিধা হয়। ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। তাই পরিবেশকে আরও ভাল করে বুঝতে সিয়াটেলের স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়াকে আদর্শ বলে মনে করছে জুক্স কর্তৃপক্ষ।
জুক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) লেভিনসন জানিয়েছেন, জুক্স কিছু অত্যাধুনিক ওয়েদার প্রুফিং প্রযুক্তি বিকাশ করেছে। যাকে “অ্যাক্টিভ রেন মিটিগেশন” বলে অভিহিত করা হয়েছে। লেভিনসন যোগ করে বলেছেন, আমরা এটা নিয়ে খুব উচ্ছ্বসিত এবং বৃষ্টির মধ্যে সেটা পরীক্ষা করে দেখার জন্য সিয়াটেল একটি দুর্দান্ত জায়গা।
জুক্স নিজস্ব গাড়ি তৈরির দিকে মনোনিবেশ করেছে। তবে সংস্থাটি আপাতত টয়োটা হাইল্যান্ডার (Toyota Highlander) মডেলের এসইউভি গাড়িতে বিভিন্ন সেন্সর এবং যন্ত্র লাগিয়ে দেখবে, গাড়ি চালকের সাহায্য ছাড়াই স্বয়ংক্রিয় ভাবে কতটা দক্ষতার সাথে নিজে থেকে চলতে পারছে।
স্বয়ংচালিত গাড়ির ছ’টি স্তর থাকে। তার মধ্যে তৃতীয় স্তরের গাড়ির উপরে কাজ করছে জুক্স। উল্লেখ্য, লেভেল থ্রি অটোনোমির উপর ভিত্তি করে বানানো গাড়ি রাস্তার হাল হকিকত এবং পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বুঝে আপনাআপনি চলতে সক্ষম। এবং এই কাজে সে বিভিন্ন ড্রাইভার অ্যাসিট্যান্স সিস্টেম এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেয়।