ভবিষ্যতে বৈদ্যুতিক গাড়িই বাজার দখল করবে, তা ঘটা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এরই মধ্যে একের পর এক ই-বাইক আসছে বাজারে। ২০১৬ সালে ভারতে প্রথম বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল T6X এর প্রোটোটাইপ ভার্সন উন্মোচন করেছিল টর্ক।
সেসময় সংস্থাটি বুকিং নেয়াও শুরু করেছিল। প্রথম দিনেই ১ হাজার বুকিংয়ের মাইলফলক ছুঁয়েছিল Tork T6X ইলেকট্রিক বাইকটি। তবে সেই বাইক আর ডেলিভারি পাননি গ্রাহকরা। এরপর পেরিয়েছে দীর্ঘ ৬ বছর। সবাই ভুলেও গেছে ততদিনে সেই ই-বাইকের নাম।
তবে সেই ছাইচাপা স্মৃতিতে এক দমকা হাওয়া লাগলো ২০২১। Tork T6X ইলেকট্রিক বাইকটি আনুষ্ঠানিক লঞ্চ করা হবে বলে ঘোষণা আসে সংস্থার পক্ষ থেকে। তবে তাও ধামাচাপা পড়ে যায় কয়েকদিনেই। তবে সব বিতর্কের অবসান ঘটতে চলেছে দীর্ঘ ৬ বছর পর ২০২২ সালে।
ঝাচকচকে নতুন বছরের শুরুতেই অর্থাৎ জানুয়ারিতে একদম নতুন অবতারে ও নতুন নামে আসতে চলেছে ই-মোটরসাইকেলটি। T6X এর পরিবর্তে এর নতুন নামকরণ করা হয়েছে Tork Kratos। এ মাসেই এটির ভার্চুয়াল লঞ্চ হবে, এরপরই টর্ক ক্র্যাটোস এর বুকিং নেয়া শুরু হবে বলে জানা গেছে।
এরই মধ্যে ভারতের রাস্তায় একাধিকবার এটির টেস্ট রান করতে দেখা গেছে। আসন্ন ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলটির নতুন মডেলটিতে একাধিক পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। যেমন এর ফ্রেম, কার্যকারিতা, ফিচার, এমনকি এর ব্যাটারি প্যাকেও। টর্কের তৈরি TIROS নামক অপারেটিং সিস্টেমের সহায়তায় চলবে এই বিদ্যুৎ চালিত মোটরবাইকটি।
তবে এর রেঞ্জ এবং ব্যাটারির সম্পূর্ণ চার্জের সময়কাল সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা যায়নি। অন্যান্য ফিচারের মধ্যে এতে থাকবে এলইডি হেডলাইট, টেল লাইট, একটি নতুন ভার্সনের স্প্লিট সিট ইত্যাদি। টর্ক ক্র্যাটোসে দেওয়া হয়েছে সংস্থার তৈরি উন্নত ব্যাটারি এবং অ্যাক্সিয়াল ফ্লাক্স মোটর। পারফরমেন্সের দিক থেকে এটি ১৫০-১৬০ সিসি-র আইসিই ইঞ্জিনের কমিউটার মোটরবাইকগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে।
২০১৬-তে বাইকটির ঘোষিত মূল্য ছিল ভারতীয় মুদ্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তবে এবার এর দাম ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে রাখা হতে পারে বলে অনুমান করা যাচ্ছে। মূলত আর্থিক সঙ্কট, অন্যান্য সমস্যা এবং কোভিড মহামারির কারণে বাইকটির উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল সংস্থাটি।