নতুন স্থাপিত কারখানা নিয়ে বিপাকে পড়েছে ইলেকট্রিক গাড়ির নির্মাতা টেসলা। ব্যাটারি ঘাটতি আর চীনের সরবরাহ জটিলতায় প্রতিষ্ঠানটি নতুন কারখানা নিয়ে বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে।
জার্মানির বার্লিনে এবং যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের টেসলার নতুন কারখানা দুটি ‘ডলার পোড়ানোর চুল্লী’ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন খোদ টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক। পাশাপাশি চীনের সাংহাইয়ের কারখানা নিয়েও বিপাকে আছে কোম্পানিটি। চীনের চলমান লকডাউনে উৎপাদন চালু রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটিকে।
আর এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কর্মী ছাঁটাই হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন ইলন মাস্ক। মূলত করোনার পাশাপাশি ব্যাটারি সংকটে গত বছর যাত্রার শুরুর পর থেকেই নতুন কারখানা পুরোপুরি চালু হতে পারেনি। ন্যূনতম উৎপাদন নিশ্চিত করতে না পারায় টেসলার ‘বোঝা’ হয়ে উঠেছে নতুন এ কারখানাগুলো।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, লকডাউনে চীনের বন্দরে ব্যাটারির যন্ত্রাংশ আটকে রয়েছে। এতে সংকটে পড়েছে টেসলার নতুন কারখানা। ফলে কারখানা দুটি খুবই ‘স্বল্প সংখ্যক’ গাড়ি উৎপাদন করছে। সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান হবে বলে প্রত্যাশা করছেন মাস্ক। গত মে মাসে এ বিষয়ে মাস্ক কথা বললেও গণমাধ্যমে তা এসেছে সম্প্রতি।
মাস্ক বলেন, সাংহাইয়ের লকডাউন টেসলাকে কঠিন সমস্যার মুখোমুখি করেছে। উল্লেখ্য করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে চলতি বছরের শুরু থেকে চীনের বেশ কিছু এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এ লকডাউনে মানুষের পাশাপাশি পণ্য পরিবহনও নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।