যৌক্তিক কারণে ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল চালকদের বাধা দেবে না পুলিশ। প্রয়োজনে ঈদে মোটরসাইকেলে বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার জন্য একটি মুভমেন্ট পাস দেবে পুলিশ। এ পাস দেখিয়ে মোটরসাইকেল চালক নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা করতে পারবেন।
৬ জুলাই, বুধবার রাতে এমন নির্দেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল চলাচলের নিষেধাজ্ঞার পর আমাদের কাছে আরো একটি নির্দেশনা আসে। দ্বিতীয় নির্দেশনায় বলা হয়, যেসব মানুষ মোটরসাইকেল করে ঈদযাত্রা করবেন তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা নমনীয় পদক্ষেপ নিতে। চালকরা যদি মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রার যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেন তাহলে তাদের ছেড়ে দিতে। যৌক্তিক কারণে পুলিশ সন্তুষ্ট হলে চালকদের একটা মুভমেন্ট পাস দেয়া হবে। এই পাস দেখানোর পর সেই চালক তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা করতে পারবেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, দেখা গেছে ঐ ব্যক্তির কাছে মোটরসাইকেল ছাড়া ঈদযাত্রার আর কোনো উপায় নেই। সে কোনোভাবে ট্রেন বা বাসের টিকিট পাননি, তার সঙ্গে পরিবারও থাকে না। তাকে গ্রামের বাড়ি গিয়ে বা তার যেখানে বাড়ি সেখানে ঈদ পালন করবেন পরিবারের সঙ্গে। সেক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হবে। তবে ঢালাওভাবে ছাড় দেয়া হবে না।
সংশ্লিষ্ট অফিসার নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটে চালকের কারণগুলো যৌক্তিক মনে করলে তিনি তাকে ছাড় দিতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই মোটরসাইকেলের কাগজপত্র বৈধ হতে হবে ও ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। এছাড়া মানসম্মত হেলমেট পড়ে যাত্রা করতে হবে।
এদিকে, বিআরটিএ মোটরসাইকেলে চলাচলে যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, তাতে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয় বলেও মত বাহিনীর কর্মকর্তাদের। মোটরসাইকেল চালানো একজন মানুষের একান্তই ব্যক্তিগত অধিকার বলেও মনে করছেন তারা।
মহাসড়কগুলোতে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষেও মোটরসাইকেল আটকে জিজ্ঞাসাবাদ ও কারণ জানতে চাওয়া চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। কেননা ঈদযাত্রা ও ফিরতি যাত্রায় মহাসড়কেও প্রচুর গাড়ির চাপ থাকে।
এরআগে গত ৩ জুলাই সড়ক পরিবহন সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী জানান, ঈদের আগে ও পরে ৭দিন এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। বন্ধ থাকবে মহাসড়কে রাইড শেয়ারিংও। ৭ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত এটি বলবৎ থাকবে।
সরকারি এ নির্দেশনা পরিপালনে আগামী ৭ জুলাই থেকে রাজধানীর প্রবেশমুখে প্রতিটি মোটরসাইকেল আটকানো হবে। তবে রাজধানী থেকে আশপাশে ঢাকা জেলার অধীন কোনো গন্তব্যে চলাচলকারী যানবাহন এর আওতামুক্ত থাকবে।