অচিরেই কোরিয়ার কারিগরি সহায়তায় প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে আধুনিকায়ন করে গাড়ি তৈরি শুরু করা হবে। জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি (ইভি) তৈরিরও পরিকল্পনা রয়েছে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ঢাকা অফিসে শো–রুম ও সেলস সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এ কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে প্রগতি বাস–ট্রাকের মাধ্যমে পরিবহন ক্ষেত্রে যাত্রা শুরু হয়। ব্রিটিশদের থেকে চেসিস নিয়ে এসে ট্রাক বানাত প্রগতি। বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় সিডান কার বানানোর চেষ্টা শুরু হয়। সে প্রগতি থেকে একটি সিডান কার তৈরি করে বঙ্গবন্ধুকে দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘প্রগতি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। প্রগতি বিদেশ থেকে যন্ত্রাংশ আমদানি করে এখানে অ্যাসেম্বলিং (সংযোজন) করছে। মানসম্মত ও যুগোপযোগী পণ্য উৎপাদন করতে হবে। সাশ্রয়ী মূল্যের গাড়ি ও মোটরসাইকেল উৎপাদন করতে হবে।’
বর্তমানে জাপানের মিতসুবিশি মোটরস করপোরেশনের পাজেরো স্পোর্টস (কিউএক্স) জিপ, মিতসুবিশি এল–২০০ ডাবল কেবিন পিকআপের সিকেডি আমদানি করে সংযোজন ও বাজারজাত করে প্রগতি। এ ছাড়া জাপান থেকে মিতসুবিশি ব্র্যান্ডের এএসএক্স জিপ (কমপ্লিট বিল্টইন) সিবিইউ অবস্থায় আমদানি করে বাজারজাত করা হয়। অনেক সময় ক্রেতাসাধারণের চাহিদা বিবেচনায় প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সোর্সিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গাড়ি সরবরাহ করে থাকে।