জাপানের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হোন্ডা ও নিসান বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইলেকট্রিক ভেহিকেল বা ইভি) নিয়ে চীনা গাড়ি নির্মাতাদের সঙ্গে নতুন এক লড়াইয়ে নামছে। ইভির মাধ্যমে নতুন উদ্ভাবনকে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে কৌশলগত অংশীদারত্ব গড়ে তুলেছে প্রতিষ্ঠান দুটি। সহযোগিতার লক্ষ্য হিসেবে গাড়ির উপাদান ও নতুন সফটওয়্যার তৈরিতে কাজ করবে হোন্ডা ও নিসান। চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে জাপানের এই দুই গাড়ি নির্মাতা হোন্ডা ও নিসান কৌশলগত অংশীদারত্ব গঠন করেছে। জাপানের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান দুটি গাড়ি তৈরিতে খরচ কমাতে ও বাজারে প্রভাব বাড়াতে কাজ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
বিওয়াইডি এবং লি অটোর মতো চীনা গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গত কয়েক বছরে ব্যাপকভাবে ইভির বাজার দখল করেছে। নিসান প্রথম থেকে ইভি নিয়ে কাজ করলেও ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে। ২০০৯ সালে নিসান গণমানুষের জন্য বিশ্বের প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি হিসেবে লিফ মডেল নকশা করে ও বাজারজাত করে। নিসানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাকোতো উচিদা বলেন, উদীয়মান গাড়ি নির্মাতারা খুব আক্রমণাত্মক ও অবিশ্বাস্য গতিতে বৈদ্যুতিক গাড়ির জগতে প্রবেশ করছে। প্রতিযোগিতায় জিততে পুরোনো ধারণাকে নিয়ে এগোনো যাবে না।
অন্যদিকে হোন্ডার গাড়ির বাজার ছোট হয়ে আসছে। হোন্ডার প্রেসিডেন্ট তোশিহিরো মিবে বলেন, দুই কোম্পানি সম্ভাব্য সহযোগিতার জন্য স্মারক স্বাক্ষর করেছে। আমরা জাপান ও বিদেশে অন্য জায়গায় একসঙ্গে কাজ করার জন্য প্রস্তুত। রেনল্ট ও মিৎসুবিশি মোটরসের সঙ্গে নিসানের বিদ্যমান সম্পর্ক থাকলেও নতুন চুক্তি তেমন প্রভাবিত করবে না। হোন্ডা ২০৪০ সালের মধ্যে বৈদ্যুতিক যানবাহন ও তেলনির্ভর গাড়ির তৈরির অনুপাত সমান করার লক্ষ্য নিয়েছে।
নিসান এখন ইউরোপে বড় আকারের বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে রেনল্টকে সহযোগিতা করছে। নিসানের পরবর্তী বৈদ্যুতিক গাড়ির নাম মিক্রা, যা রেনল্ট ফাইভ বৈদ্যুতিক গাড়ির নকশা অনুসারে উত্তর ফ্রান্সের একই করাখানায় তৈরি হবে। নিসান আর রেনল্ট ২০২৩ সাল থেকে অবশ্য কাজের পরিধি কমিয়েছে। রেনল্ট চীনের গাড়ি নির্মাতা জিলির সঙ্গে চুক্তি করেছে। নিসানের সিইও উচিদা বলেন, নিসান ও হোন্ডা যৌথভাবে অন্যদের সঙ্গে কাজ করতে চায়।