বাইক কেনার সময় এর এবিএস ফিচার আছে কি না তা সবার আগেই দেখে নেন। এটি একটি সুরক্ষা ফিচার। জানেন কি, এবিএস কী এবং কীভাবে কাজ করে বাইকে? এবিএসের পূর্ণরূপ হচ্ছে ‘অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম’। এবিএস বলতে অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম বোঝায়। চাকা স্কিড করা আটকাতে এই সিস্টেম আনা হয়েছে। এতে ব্রেক করার সময় চাকা লক হয় না, রাস্তার সঙ্গে ট্রাক্টিভ কন্ট্র্যাক্ট বজায় থাকে।
একটা সময় বাইকে ড্রাম ব্রেক ইনস্টল করা হত। তবে স্পোর্টস বা অল টেরেন বাইকে নয়, কমিউটার বাইকে। ড্রাম ব্রেকে থাকত ব্রেক শু। ব্রেক টিপলে ব্রেক শু গিয়ে লাগত ড্রামে। ফলে ড্রাম এবং ব্রেক শু-র ঘর্ষণে গাড়ি দাঁড়িয়ে যেত। কিন্তু এতে হুইললকিং নীতি কাজ করে না, ফলে যে কোনো সময় বাইক স্কিড করার সম্ভাবনা ছিল। স্কিডিং এড়াতেই চালু হয় অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম বা এবিএস।
এবিএস ব্রেকিং সিস্টেমের তিনটি অংশ। ইসিইউ কিট, ব্রেক এবং হুইল স্পিড সেন্সর। এটা সাধারণত পিছনের চাকার ইনস্টল করা হয়। স্পিড সেন্সরকে এমনভাবে ম্যাপ করা হয়েছে, যা চাকার সম্ভাব্য লক আপ পর্যবেক্ষণ করতে পারে। এই সেন্সর ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত, যা চাকাকে কিছুটা দূরত্বে রোল করতে এবং নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে লক করতে দেয়। এভাবেই এবিএস কাজ করে। সাধারণত ডিস্ক ব্রেকে এবিএস থাকে। ড্রাম ব্রেকে ইনস্টল করা যায় না।
বাইকে এবিএস থাকলে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায়। এবিএসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, হঠাৎ জোরে ব্রেক কষলেও চাকা স্কিড করবে না। অনেক বাইকার স্টান্টকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তারা যখন স্টপির মতো স্টান্টের খেলা দেখান তখন এবিএসের গুরুত্ব বোঝা যায়।
মটোজিপ রাইডাররা স্লিপার ক্লাচ ব্যবহার করে। তারা যখন একপাশে ঝুঁকে বাইক চালায় তখন এবিএস কার্যকর হয়। তাঁরা ক্রমাগত ব্রেক কষতে থাকে, কিন্তু এবিএস চাকাকে মাটির সঙ্গে ধরে রাখে। স্কিড থেকে বাঁচায়।
বাইকে এবিএসের গুরুত্ব কিন্তু অপরিসীম। আগে প্রিমিয়াম বাস এবং গাড়ির মতো বড় যানবাহনে এবিএস ইনস্টল করা হত। কিন্তু পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বাইক নির্মাতারা মোটরসাইকেলে এবিএস ইনস্টল করতে শুরু করেন। এটা ব্যয়বহুল। কিন্তু কাজ করে একশো শতাংশ।