ব্যক্তিগত গাড়ি কারো কাছে বিলাস আবার কারো কাছে শখ হলেও, অধিকাংশ মানুষের কাছেই এটি এখন প্রয়োজন। স্কুল-কলেজ, অফিসে যাতায়াতসহ দৈনন্দিন চলাচলের জন্য মূলত মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ি কিনতে চান।
কিন্তু আমাদের দেশে চার চাকার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়াটা এত সহজ নয়। এখানে গাড়ি কেনার আগে একজন ক্রেতাকে অনেক বিষয় বিবেচনায় রাখতে হয়। বাজেট এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর। ফলে এদেশের প্রেক্ষাপটে গাড়ি কেনার জন্য একজন মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীকে বছরের পর বছর সঞ্চয় করে যেতে হয়।
ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনতে চাইলে আপনাকে আগে খুব ভালোভাবে ডাউন পেমেন্ট এবং আদর্শ ইএমআইয়ের পরিমাণ সম্পর্কে জানতে হবে। এক্ষেত্রে বিবেচনায় রাখতে পারেন ২০-১০-৪ নীতি; যা বছরের পর বছর ধরে মেনে আসছেন ক্রেতারা।
ঋণ নিয়ে গাড়ি কেনার অন্যতম ‘রুল অব থাম্ব’ হলো এই নীতি। ২০-১০-৪ নীতিতে মোট ৩টি মূল উপাদান থাকে। এগুলো হল ডাউন পেমেন্ট, মাসিক খরচ এবং ঋণ পরিশোধের সময়সীমা।
ডাউন পেমেন্ট হলো সে অর্থ, যা ক্রেতা ব্যয়বহুল পণ্য যেমন গাড়ি, বাড়ি বা দামি পরিষেবা কেনার প্রাথমিক পর্যায়ে প্রদান করেন। ডাউন পেমেন্ট হিসাবে আপনি যত বেশি অর্থ প্রদান করতে সক্ষম হবেন, ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ তত কমতে থাকবে।
২০-১০-৪ নীতির ‘২০’ হলো এই ডাউনপেমেন্ট। অর্থাৎ এই নীতি মেনে গাড়ি কিনতে বুক করার সময়েই গাড়ির অন-রোড মূল্যের ২০ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট হিসেবে প্রদান করতে হবে।
এরপরের ‘১০’ হলো ইকুয়েটেড মান্থলি ইনস্টলমেন্ট তথা ইএমআইয়ের পরিমাণ। গাড়ির ইএমআই যেন কোনোভাবেই গ্রাহকের মাসিক আয়ের ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে না যায়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
সবশেষে, ২০-১০-৪ নীতির ‘৪’ দ্বারা বোঝায় ঋণ পরিশোধের মেয়াদকে। এক্ষেত্রে ইএমআই পরিশোধের মেয়াদ খুব বেশি হলে হওয়া উচিত ৪ বছর।
অবশ্য এই নীতি পুরোপুরি নির্ভর করবে গ্রাহকের আয় এবং আনুষঙ্গিক খরচের ওপর।