জনপ্রিয় হচ্ছে অনলাইনে কেনাকাটা। সময় বাঁচাতে এ সুবিধার জুড়ি নেই। জনপ্রিয়তার কারণে বাড়ছে ই-কমার্স ওয়েবসাইট। কম দামে কিংবা ছাড়ের কারণে ই-কমার্স সাইটগুলোতে স্মার্টফোনগুলো রয়েছে সর্বোচ্চ বিক্রির তালিকায়।
আজ আপনাকে জানাবো অনলাইনে স্মার্টফোন কেনার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন-
ফিচার: মাঝে মধ্যেই ই-কমার্স সাইটগুলো স্মার্টফোনকে আকর্ষণীয় করে তুলতে ভুয়া ফিচার লিখে রাখে। কোনো স্মার্টফোন কেনার সময় সেই কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে স্মার্টফোনটির ফিচার যাচাই করে নেবেন।
সেলারের রিভিউ ও রেটিং: দেশের বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটে যারা প্রোডাক্ট বিক্রি করে তাদের অনেকেই স্মার্টফোন কোম্পানির অফিসিয়াল সেলার নয়। সে কারণে আপনি যখন ফোন কিনবেন তখন সেলারের নাম এবং তাদের রেটিং দেখে নেবেন। এছাড়া তাদের সম্পর্কে গ্রাহকরা কি লিখেছে সেটাও পড়ে নেবেন।
সঠিক দাম জেনে নিন: অনলাইনে কোনো প্রোডাক্ট কেনার আগে অবশ্যই বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সেই প্রোডাক্টের দাম জেনে নিন। কারণ এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা প্রোডাক্টের দাম ডিসকাউন্টে দেওয়ার কথা জানায়। যদিও অন্য ওয়েবসাইটে ওই প্রোডাক্টের দাম অনেক কম থাকে।
ওয়ারেন্টি: অনলাইনে ফোন কেনার আগে তার ওয়ারেন্টি এবং এর আনুষঙ্গিক দেখে নিন। এছাড়া শর্তাবলি সাবধানে পড়ুন।
অফার: ই-কমার্স সাইটগুলো থেকে স্মার্টফোন অর্ডার দেওয়ার সময় খুঁজে দেখুন কোন ওয়েবসাইট সেরা অফার দিচ্ছে। যেখানেই সেরা অফার দেওয়া হচ্ছে সেখান থেকে স্মার্টফোন কিনুন। তবে অবশ্যই যাচাই করে।
এক্সচেঞ্জ অফার: সবসময় না হলেও এক্সচেঞ্জ অফার অনেক ক্ষেত্রে আমাদের জন্য লাভজনক হতে পারে। এক্ষেত্রে পুরনো ফোন বদলে অনেক কমে নতুন ফোন কিনতে পারেন। সে জন্য ফোন কেনার আগে তার সাথে দেওয়া এক্সচেঞ্জ অফার অবশ্যই দেখে নিন।
রিটার্ন ও রিফান্ড পলিসি: আপনি তাড়াতাড়ি স্মার্টফোনের রিটার্ন ও রিফান্ড পলিসি না পড়ে কিনে নিলেন। কয়েক দিন পর যখন ফোনটি খারাপ হয়ে গেল, কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করায় আপনাকে জানানো হলো এই স্মার্টফোনের রিটার্ন বা রিফান্ড সম্ভব নয়। ফলে আপনি সমস্যায় পড়ে গেলেন। তাই অনলাইনে কোনো প্রোডাক্ট কেনার আগে অবশ্যই রিটার্ন ও রিফান্ড পলিসি বারবার পড়ে নেবেন।