বিক্রয়োত্তর সেবা কার্যক্রমকে অনলাইনের আওতায় আনতে কাস্টমার ডাটাবেজ তৈরি করছে দেশের জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেল। সেজন্য তারা চালাচ্ছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। চলতি মাসে শুরু হয়েছে ক্যাম্পেইনের সিজন-৫। এর আওতায় এয়ার কন্ডিশনার বা এসি ক্রেতাদের সর্বোচ্চ ১২ বছরের বিদ্যুৎ বিল ফ্রি পাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে মার্সেল। রয়েছে নিশ্চিত ক্যাশব্যাক।
এদিকে ‘এসি এক্সচেঞ্জ’-এর সুবিধাও পাচ্ছেন ক্রেতারা। এর আওতায় গ্রাহকরা যে কোনো ব্র্যান্ডের পুরনো এসি বদলে মার্সেলের নতুন এসি কিনতে পারছেন ২৫ শতাংশ ছাড়ে। যা ইতোমধ্যে সারা দেশের গ্রাহকের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ‘এসি এক্সচেঞ্জ’ সুবিধায় দেশব্যাপী অসংখ্য ক্রেতা তাদের পুরনো এসি বদলে কিনেছেন মার্সেলের নতুন এসি।
এসব সুবিধার পাশাপাশি ফ্রি ইন্সটলেশন, ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, এসির কম্প্রেসরে সর্বোচ্চ ১০ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে মার্সেল।
মার্সেলের হেড অব সেলস ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, ক্রেতাদের হাতে উচ্চমানের পণ্য ও দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে নানান সুবিধা দিয়ে আসছে মার্সেল। ক্যাম্পেইনের আওতায় ক্রেতাদের বাড়তি সুবিধা দেয়ায় এসির বিক্রি যেমন বেড়েছে, তেমনি ডাটাবেজ তৈরির প্রক্রিয়াও আরো গতি পেয়েছে। এর ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো মার্সেল সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাক্সিক্ষত সেবা নিতে পারছেন গ্রাহক। এ কার্যক্রমে অংশ নিতে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে ১২ বছরের বিদ্যুৎ বিল ফ্রি এবং নিশ্চিত ক্যাশব্যাকের সুযোগ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, মার্সেল এসিতে রয়েছে সঠিক বিটিইউ’র নিশ্চয়তা। যুক্ত হয়েছে ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসর। ফলে মার্সেল এসি ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা বুঝে সেই অনুযায়ী রেফ্রিজারেন্ট সরবরাহ করে। ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলে কম্প্রেসর ঘুমন্ত অবস্থায় থাকে। প্রয়োজন অনুযায়ী তাপমাত্রা সরবরাহ করে বিধায় এতে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। কম্প্রেসরের স্থায়ীত্বও বাড়ে। এসি চালুর সময় তুলনামূলক কম শব্দ হয়।
মার্সেল ইনভার্টার এসির কম্প্রেসারে আছে টার্বোমুড। যা রুমের তাপমাত্রা দ্রুত কমিয়ে এনে রুমকে তাড়াতাড়ি ঠান্ডা করে। কম্প্রেসরে ব্যবহৃত হয়েছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর৪১০এ রেফ্রিজারেন্ট।
সংযোজন করা হয়েছে এয়ার ইক্যুইলাইজার প্রযুক্তি। যা ঠান্ডা করার পাশাপাশি রুমের বাতাসকে ধূলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করে। কন্ডেন্সারে ব্যবহার করা হচ্ছে মরিচারোধক গোল্ডেন ফিন কালার প্রযুক্তি। যার ফলে মার্সেল এসি টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী।
প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর মফিজুর রহমান জানান, মার্সেল এসির রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ও উন্নয়ন (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) বিভাগ। যেখানে দেশের দক্ষ ও মেধাবী প্রকৌশলীরা প্রতিনিয়ত এসির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় স্পিøট এসির ক্রিস্টালাইন সিরিজে এক, দেড় এবং দুই টনের এয়ার ইক্যুইলাইজার, টুইন-ফোল্ড ইনভার্টার এবং স্মার্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির এয়ার কন্ডিশনার বাজারে ছাড়া হয়েছে।
তিনি জানান, ক্রেতাদের জন্য মার্সেল নিয়ে এসেছে আইওটি বেইজড স্মার্ট এসি। যা ভয়েস কমান্ড ও স্মার্টফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণযোগ্য। অর্থাৎ ‘ভয়েস কন্ট্রোল’ বা ‘অ্যামাজন ইকো’র মাধ্যমে রিমোট কন্ট্রোল ছাড়াই স্মার্ট এসির শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বাড়ানো, কমানো, চালু বা বন্ধ করা যায়।
বর্তমানে বাজারে রয়েছে ভেনচুরি, রিভারাইন, রিভারাইন প্রো এবং ক্রিস্টালাইন সিরিজের এক, দেড় এবং দুই টনের বিভিন্ন মডেলের স্পিøট এসি। মাসের্লের এক টনের স্পিøট এসির দাম ৩৬,৯০০ টাকা। দেড় টনের দাম ৪৫,৯০০ টাকা থেকে ৬৬,০০০ টাকার মধ্যে। আর দুই টনের এসির দাম পড়বে ৫৬,৯০০ টাকা থেকে ৭৭,৪০০ টাকা।
গ্রাহক পর্যায়ে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিতে মার্সেল রয়েছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এর আওতায় সারা দেশে রয়েছে ৭০টির বেশি সার্ভিস সেন্টার। সেখানে নিয়োজিত রয়েছেন আড়াই হাজারের বেশি প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান।