এয়ার কন্ডিশনার বা এসিতে ১২ বছর পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল ফ্রি দিচ্ছে বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন। প্রতিষ্ঠানটির চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৫ এর আওতায় এ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ওয়ালটন এসি কিনে ১২ বছরের বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ব্যবসায়ী মিন্টু রঞ্জন ধর।
উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে কাস্টমার ডাটাবেজ তৈরি করছে ওয়ালটন। এ উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে তারা। এর মাধ্যমে ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও গ্রাহক দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে সহজেই কাক্সিক্ষত সেবা নিতে পারছেন। ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে এসিতে ১২ বছরের বিদ্যুৎ বিল ফ্রি, নিশ্চিত ক্যাশব্যাক, ফ্রি ইন্সটলেশনসহ বিভিন্ন সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি জগন্নাথপুর উপজেলার আব্দুস সামাদ আজাদ অডিটোরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে মিন্টু রঞ্জন ধরের কাছে ওয়ালটনের পক্ষে ১২ বছরের বিদ্যুৎ বিল হস্তান্তর করেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। মিন্টু রঞ্জন ধরের পক্ষে তার ছোট ভাই ডা. মধুসূধন ধর বিদ্যুৎ বিল বাবদ ১ লাখ টাকা গ্রহণ করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন ভূইয়া, সৈয়দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মনোয়ার আলী, জগন্নাথপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আফছার উদ্দীন ভূঁইয়া, ওয়ালটনের সিলেট জোনের এরিয়া ম্যানেজার আসাদুজ্জামান এবং ওয়ালটনের পরিবেশক ‘পপুলার ইলেকট্রনিক্স’-এর স্বত্ত্বাধিকারী জুলফিকার আলী মনিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
ডা. মধুসূধন ধর জানান, জগন্নাথপুরে তার দাদার কনফেকশনারি ব্যবসা আছে। ওই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য তিনি গত ২৩ নভেম্বর ‘পপুলার ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ৩টি ওয়ালটন এসি কেনেন। এরপর ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে রেজিস্ট্রেশনে অংশগ্রহণ করলে মিন্টু রঞ্জন ধরের মোবাইলে ১২ বছরের বিদ্যুৎ বিল বাবদ ১ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায়।
তিনি বলেন, আমার দাদা মিন্টু রঞ্জন ধর লিভার সিরোসিসে ভুগছেন। শিগগিরই ভারতে তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা হবে। সেজন্য তিনি এখানে আসতে পারেন নি। ওয়ালটন থেকে পাওয়া এই টাকা তার চিকিৎসায় সহায়তা করবে। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
অনুষ্ঠানে সাইমন সাদিক বলেন, নিজস্ব কারখানায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এসি তৈরি করছে ওয়ালটন। সাশ্রয়ী দাম ও সহজলভ্য বিক্রয়োত্তর সেবা থাকায় ওয়ালটন এসি ক্রেতাদের মন জয় করে নিয়েছে। যার ফলে দেশের এসি বাজারে শীর্ষে ওয়ালটন। আন্তর্জাতিক মানের ওয়ালটন এসি রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
কর্মকর্তারা জানান, ওয়ালটন এসিতে রয়েছে সঠিক বিটিইউর নিশ্চয়তা। এর ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। কম্প্রেসরে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এইচএফসি গ্যাসমুক্ত আর৪১০এ এবং আর৩২ রেফ্রিজারেন্ট। রয়েছে টার্বোমুড ও আয়োনাইজার প্রযুক্তি, যা দ্রুত ঠান্ডা করার পাশাপাশি রুমের বাতাসকে ধুলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত করে। কন্ডেন্সারে ব্যবহার করা হচ্ছে মরিচারোধক গোল্ডেন ফিন কালার প্রযুক্তি। যার ফলে ওয়ালটন এসি টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী। দেশের বাজারে ওয়ালটনই প্রথম মুঠোফোনে নিয়ন্ত্রণযোগ্য স্মার্ট এসি এনেছে।
বিদ্যুৎ বিল এবং নিশ্চিত ক্যাশব্যাকের পাশাপাশি যেকোনো ব্র্যান্ডের পুরনো এসির বদলে ২৫ শতাংশ ছাড়ে ওয়ালটনের নতুন এসি কেনার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া, যেকোনো ব্যাংকের ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড কিংবা বিকাশ ও রকেটে পেমেন্ট করলেই মিলবে ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট। মাত্র ৪ হাজার ৯০০ টাকা ডাউন পেমেন্টে ৩৬ মাসের সহজ কিস্তির সুবিধা, জিরো ইন্টারেস্টে ১২ মাসের ইএমআই (ইক্যুয়াল মান্থলি ইনস্টলমেন্ট), ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি এবং টুইন-ফোল্ড ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরে ১০ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের প্রতিটি এসি আন্তর্জাতিক মানের টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউটিএস থেকে মান নিয়ন্ত্রণ ছাড়ের পর বাজারজাত করা হচ্ছে।
এসব সুবিধার পাশাপাশি ওয়ালটনের রয়েছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এর আওতায় সারা দেশে রয়েছে ৭২টি সার্ভিস সেন্টার। বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে নিয়োজিত রয়েছেন আড়াই হাজারের বেশি প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান।