নতুন মডেলের আরেকটি মিড রেঞ্জের ফোন বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিলো ওয়ালটন। যাতে ব্যবহৃত হয়েছে বিশাল ডিসপ্লে, শক্তিশালী ব্যাটারিসহ আকর্ষণীয় সব ফিচার। করোনা মহামারির মধ্যে ঘরে বসেই ওয়ালটনের নিজস্ব অনলাইন শপ ই-প্লাজা থেকে বিনামূল্যে ফোনটির প্রি-বুক দেয়া যাচ্ছে। প্রি-বুকে থাকছে আকর্ষণীয় মূল্যছাড়।
ওয়ালটন সেল্যুলার ফোন বিক্রয় বিভাগের প্রধান আসিফুর রহমান খান জানান, ‘প্রিমো এইচএমসিক্স’ মডেলের ওই ফোনটির দাম ধরা হয়েছে মাত্র ৮,৮৯৯ টাকা। তবে ই-প্লাজায় প্রি-বুক দেয়া ক্রেতাদের জন্য থাকছে ১০০০ টাকা মূল্যছাড়। ফলে এর দাম পড়বে মাত্র ৭,৮৯৯ টাকা। ই-প্লাজা (eplaza.waltonbd.com) থেকে কেনা সব মডেলের ওয়ালটন স্মার্টফোনে রয়েছে হোম ডেলিভারি নেয়ার ব্যবস্থা। ‘প্রিমো এইচএমসিক্স’ মডেলের ফোনটি https://cutt.ly/primohm6 এই লিংক থেকে প্রি-বুক দেয়া যাবে।
ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, দুর্দান্ত পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য ফোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ৬০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি। একবার ফুল চার্জে ফোনটি ৫০ দিন পর্যন্ত স্ট্যান্ডবাই মোডে সচল থাকবে। এই ফোনে ৪৬ ঘন্টা ভয়েস কলিং, ৩০ ঘন্টা মিউজিক প্লেব্যাক, ১৮ ঘন্টা ওয়েব ব্রাউজিং, ১৪ ঘন্টা ভিডিও প্লেব্যাক এবং ৯ ঘন্টা ভিডিও রেকর্ডিংয়ের ব্যাটারি ব্যাকআপ পাবেন গ্রাহক।
স্মার্টফোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ৬.৫২ ইঞ্চির ১৯.৫:৯ রেশিওর ভি-নচ ডিসপ্লে। এইচডি প্লাস পর্দার রেজ্যুলেশন ১৬০০ বাই ৭২০ পিক্সেল। আইপিএস প্রযুক্তির স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ধূলা ও আঁচররোধী ২.৫ডি কার্ভড গ্লাসও। ফলে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার এবং ভিডিও দেখা, গেম খেলা, বই পড়া বা ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে অনন্য অভিজ্ঞতা পাবেন গ্রাহক।
ফোনটি অ্যান্ড্রয়েড ১০ গো অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত। ফলে এই ফোনের কার্যক্ষমতা ও গতি হবে অনেক বেশি। এতে ব্যবহৃত হয়েছে ১.৬ গিগাহার্টজ গতির এআরএম কোর্টেক্স-এ৫৫ অক্টাকোর প্রসেসর। সঙ্গে রয়েছে ২ জিবি র্যাম এবং পাওয়ার ভিআর জিই৮৩২২ গ্রাফিক্স। ফলে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, থ্রিডি গেমিং এবং দ্রুত ভিডিও লোড ও ল্যাগ-ফ্রি ভিডিও স্ট্রিমিং সুবিধা পাওয়া যাবে। ফোনটির অভ্যন্তরীণ মেমোরি ৩২ গিগাবাইটের। যা মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে ১২৮ গিগাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।
ফোনটির পেছনে রয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত এফ ২.০ অ্যাপারচার সমৃদ্ধ পিডিএএফ প্রযুক্তির এআই ডুয়াল ক্যামেরা। এর ১৩ মেগাপিক্সেলের প্রধান ক্যামেরা দেবে উজ্জ্বল, ঝকঝকে রঙিন ছবি। আর ডেপথ সেন্সর পোর্টরেইট ফটোগ্রাফি করবে আরো উন্নত।
আকর্ষণীয় সেলফির জন্য ‘প্রিমো এইচএমসিক্স’ স্মার্টফোনটির সামনে রয়েছে এফ ২.২ অ্যাপারচার সমৃদ্ধ পিডিএএফ প্রযুক্তির ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। এতে আছে এআই সিন রেকগনিশন, বোকেহ, ফেস বিউটি, জিও ট্যাগিং, টাচ ক্যাপচার, ফিঙ্গার ক্যাপচার, সেলফ টাইমার, পোর্টরেইট, টাইম ল্যাপস, ব্রাস্ট মোড, নাইট, কিউআর কোড, এইচডিআর, প্যানারোমা, ফিল্টার, গ্রিডলাইনসহ অসংখ্য আকর্ষণীয় ফিচার।
কানেক্টিভিটি হিসেবে আছে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ভার্সন ৪.২, ল্যান হটস্পট, ওটিএ এবং ওটিজি। সেন্সর হিসেবে রয়েছে প্রোক্সিমিটি, লাইট, এক্সিলারোমিটার (থ্রিডি), ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, জিপিএস, এ-জিপিএস নেভিগেশন, স্টেপ কাউন্টার ইত্যাদি।
হ্যান্ডসেটটি পিকক গ্রিন, মিডনাইট ব্লু এবং গ্রাডিয়েন্ট পার্পল এই তিনটি আকর্ষণীয় রঙে বাজারে আসছে। এর অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ফেস আনলক, ভিওএলটিই বা ভোল্টি সাপোর্টসহ ডুয়াল ফোরজি সিম, মেমোরি কার্ডের জন্য আলাদা স্লট, রেকর্ডিং সুবিধাসহ এফএম রেডিও, ফুল এইচডি ভিডিও প্লে-ব্যাক, মোশন জেসচার, ডার্ক মোড, ফোকাস মোড, গুগল অ্যাসিস্টান্ট বাটন, স্মার্ট কন্ট্রোল, ওয়ান হ্যান্ড মোড, লং স্ক্রিনশট, নিয়ারবাই শেয়ার ইত্যাদি।
বাংলাদেশে তৈরি এই স্মার্টফোনে রয়েছে বিশেষ রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। স্মার্টফোন কেনার ৩০ দিনের মধ্যে ত্রুটি ধরা পড়লে ফোনটি পাল্টে ক্রেতাকে নতুন আরেকটি ফোন দেয়া হবে। এছাড়াও, ১০১ দিনের মধ্যে প্রায়োরিটি বেসিসে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ক্রেতা বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন। তাছাড়া, স্মার্টফোনে এক বছরের এবং ব্যাটারি ও চার্জারে ছয় মাসের বিক্রয়োত্তর সেবা তো থাকছেই।