শীত আসছে। শীতের আগমনি বার্তা আর উৎসবের আমেজ নিয়ে দেশব্যাপী ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন- ১৯’ শুরু করলো ওয়ালটন। পূর্বের মতো ক্যাম্পেইনের এই সিজনেও ওয়ালটন ফ্রিজের ক্রেতাদের জন্য রয়েছে বিশেষ চমক। সিজন-১৯ এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ই-প্লাজা থেকে যেকোনো মডেলের ফ্রিজ কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচার। এছাড়াও পাবেন কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশব্যাক।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর, ২০২৩) বিকালে রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৯’ এর ডিক্লারেশন প্রোগ্রামে এসব সুবিধা ঘোষণা দেয়া হয়। চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওয়ালটন ফ্রিজ ক্রয়ে এসব সুবিধা পাবেন ক্রেতারা।
অনুষ্ঠানে দেশব্যাপী ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৯ এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের চিফ বিজনেস অফিসার তোফায়েল আহমেদ। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটনের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর এমদাদুল হক সরকার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার ও ইভা রিজওয়ানা নিলু, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আরিফুল আম্বিয়া, দিদারুল আলম খান (চিফ মার্কেটিং অফিসার), ফিরোজ আলম ও আনিসুর রহমান মল্লিক, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আজিজুল হাকিম ও শহীদুজ্জামান রানা, সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন প্রমুখ।
ডিক্লারেশন প্রোগ্রাম স ালনা করেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান।
অনুষ্ঠানে ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের সিবিও তোফায়েল আহমেদ জানান, দেশের ফ্রিজ বাজারে ওয়ালটনের মার্কেট শেয়ার প্রায় ৭৫ শতাংশ। ওয়ালটন গ্রাহকদের হাতে শুধু আন্তর্জাতিকমানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের ফ্রিজই তুলে দিচ্ছে না; সর্বোচ্চ বিক্রয়োত্তর সুবিধা প্রদানেও বদ্ধপরিকর। তাই অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরো দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে কাস্টমার ডাটাবেজ গড়ে তুলছে ওয়ালটন। সেজন্য সারাদেশে চালানো হচ্ছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। এরই ধারাবাহিকতায় শীতকে সামনে রেখে ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৯’ শুরু করেছে ওয়ালটন। পূর্বের মতো ক্যাম্পেইনের এই সিজনও গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদী।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-১৯ এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হবে। এরপর ওয়ালটনের কাছ থেকে ফিরতি এসএমএস-এর মাধ্যমে ক্রেতারা পেতে পারেন ২’শ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচার। এছাড়াও পাবেন কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশব্যাক। প্রাপ্ত ক্যাশ ভাউচার দিয়ে ক্রেতারা তাদের পছন্দমতো ওয়ালটনের যেকোনো পণ্য কিনতে পারবেন।
ক্যাম্পেইন চলাকালীন ফ্রিজ কেনার পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ক্যাম্পেইনের প্রতিটি সিজনেই গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।
ওয়ালটন ফ্রিজের প্রকৌশলীরা জানান, ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারি সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ওয়ালটন ফ্রিজের রয়েছে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং। ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট। ফলে দেশের সিংহভাগ চাহিদা মিটিয়ে ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে।
বর্তমানে বাজারে রয়েছে ওয়ালটনের দুই শতাধিক মডেল ও ডিজাইনের রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার ও বেভারেজ কুলার। এসব ফ্রিজের দাম ১৪ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ১ লাখ ৪২ হাজার ৯৯০ টাকার মধ্যে। ওয়ালটন ফ্রিজের গ্রাহকরা ১ বছরের রিপ্লেসমেন্টসহ কম্প্রেসরে ১২ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি ও ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সুবিধা পাচ্ছেন। আইএসও সনদপ্রাপ্ত ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় দেশব্যাপী বিস্তৃত ৮২টি সার্ভিস সেন্টার থেকে গ্রাহকেরা দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পাচ্ছেন।