ই-কমার্সে একেবারে পিছিয়ে নেই ছোট শহর গুলো। গ্রাম ও ছোট শহরে দিন দিন বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যা। কেউ সখে আবার কেউ প্রয়োজনে নিয়মিত ও অনিয়মিত ক্রয় করেন ই-কমার্সে। কোরিয়ার সার্ভিস গুলোর সাথে কথা বলে জানা যায় দিন দিন পার্সেল এবং নিয়মিত ক্রেতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ধারণা করা যায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট গ্রামাঞ্চলে যত দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে তত বেশি ইকমার্সে কেনাকাটা বৃদ্ধি পাবে। পৌরসভার মেয়র গোলাম কিবরিয়া লিটন বলেন শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে ফ্রি ওয়াইফাই স্থাপন করা হচ্ছে তাতে ই-কমার্সের প্রসার হবে।
শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী হৃদয়ের ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ রয়েছে এবং ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা বৃদ্ধির ফলে ই-কমার্স হয়ে উঠেছে তার কেনাকাটার প্রদান মাধ্যম। হৃদয় জানান টি-শার্ট থেকে শুরু করে মোবাইল সহ সবকিছুই তিনি অনলাইনে ক্রয় করেন। ই-কমার্স নিয়মিত কেনাকেটার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন সময়, শ্রম এবং অর্থ বাঁচাতে ই-কমার্সের বিকল্প নেই। তাছাড়াও প্রযুক্তির সাথে খাপখাইয়ে চলতে হলে ই-কমার্সের সাথে থাকতে হবে। ই-কমার্সে প্রতারণা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন- মার্কেট প্লেস গুলোতে প্রতারণা বেশি হয় উদ্যোক্তাদের ওয়েবসাইটের তুলনায়।
কলেজ পড়ুয়া রাহাতুল জান্নাত আঁখি নিজের দরকারি কাজগুলোতে সময় দিতে ই-কমার্সে কেনাকাটা করেন। অনলাইনে অর্ডার করলে সঠিক সময়ে পণ্য পৌছে যায় এবং পেমেন্ট নিয়ে কোন ঝামেলা হয় না। তিনি বলেন রিক্সা ভাড়া এবং ডেলিভারি চার্জ প্রায় সমান। তাছাড়াও ট্রাডিশনাল পদ্ধতিতে দামের দিকে ঠকার সম্ভাবনা থাকে, আনলাইনে একই পণ্য একাধিক সাইটে থাকায় দাম নিয়ে তত টেনশন করতে হয় না। পছন্দের পণ্য আফলাইনের চেয়ে অনলাইনে খুজে পাওয়া সহজ।
শেরপুর পৌরসভার অন্তর্গত পাকুড়িয়া গ্রামে বসবাস করেন নাঈমুল ইসলাম শুভ। তিনি প্রতিমাসে অনলাইনে কেনাকাটা করে থাকেন। এ পর্যন্ত ১৫ টির বেশি ওয়েবসাইট থেকে পণ্য ক্রয় করেছেন। অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমি সবসময় ওয়েবসাইট থেকে ক্রয় করি তাই এখনো কোন অপ্রীতিকর গঠনা ঘটেনি।