দেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ (daraz.com.bd) ই-কমার্স বিক্রেতাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করল ঢাকা সেলার সামিট – ২০১৯।
গত বছর, গোটা বিশ্বজুড়ে পরিচালিত চীনা ই-কমার্স কোম্পানি আলিবাবার ইকোসিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরে দারাজে যেসব নতুন প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এসেছে, সে সম্পর্কে বিক্রেতাদের অবগত করা এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। আলোচনায় উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো ছিল দারাজে প্রযুক্তির নতুন সংযোজন ও বিক্রেতাগণ কিভাবে সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আরও সহজে এবং কার্যকরভাবে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।
৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে দিনব্যপী আয়োজিত হয় সেলার সামিট – ২০১৯। প্রায় ৪৪০ জন ব্র্যান্ড পার্টনারদের নিয়ে সামিটের প্রথম অংশ শুরু হয় দুপুর ১২ টায় এবং শেষ হয় দুপুর ৩ টায়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশ শুরু হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় প্রায় দুই হাজার বিক্রেতাদের নিয়ে এবং শেষ হয় নৈশভোজের মধ্য দিয়ে রাত ৯ টায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
সেলার সামিট-২০১৯ এর আসরে তিনি বলেন “ আমার মতে দারাজ বাংলাদেশ নিজেই ডিজিটাল বাংলাদেশের সংজ্ঞা কারন এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা শুধুমাত্র ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রেই কাজ করেনা বরং হাজার হাজার সেলারের কর্মসংস্থান করে দেশের অর্থনীতিতেও বিশাল ভূমিকা রাখছে। প্রতিষ্ঠানটির অসীম সম্ভাবনা আছে বলেই আলিবাবার মতন একটি ই-কমার্স জায়ান্ট এইটিকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেছ”।
এ উপলক্ষ্যে, দারাজ বাংলাদেশের(daraz.com.bd) ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, “এবছর আমরা সেলার সামিট শুধুমাত্র ঢাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখিনি বরং দারাজের সকল বিক্রেতাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে খুলনা, সিলেট ও রাজশাহীতেও আয়োজিত হয়েছে অনুষ্ঠানটি। এবং আগামী ১২ অক্টোবর আমরা চট্টগ্রামে আয়োজন করছি সেলার সামিট। দারাজ বাংলাদেশ শুধুমাত্র ঢাকা ভিত্তিক বিক্রেতাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাই ভবিষ্যতে আমরা সেলারদের নিয়ে আরও বড় পদক্ষেপ নেব। আশা করছি দারাজের উন্নত ও নতুন প্রযুক্তির ফলে বিক্রেতা, উদ্যোক্তা এবং ক্রেতা সকলেই লাভবান হবেন”।