অনলাইন গরুর হাট ‘গরু চাই’ সত্যিকারের হাটের অভাব সম্পূর্ণ রূপে পোষাতে না পারলেও প্রচিলত হাটের বিভিন্ন অসুবিধা দূর করে নতুন বেশ কিছু সুবিধা যোগ করায় এই মধ্যে বিক্রি বাট্টা বেশ ভালোই চলছে ‘গরু চাই’ অনলাইন হাটে। বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রচলিত হাটের মাত্রাতিরিক্ত ভিড়, কাদা, নোংরা আরো বিভিন্ন অসুবিধার কারণে অনেকেই হাটে যেতে চান না। যেহেতু লেনদেন সম্পূর্ণ নগদ টাকায় হত তাই নিরাপত্তার একটা প্রশ্ন সবসময় থেকেই যেত। তাছাড়া গরু কেনার পর তা বাড়িতে নিয়ে যাওয়াও ছিল এক ঝক্কির বিষয়। তাছাড়া এই করোনার সময়ে বিপুল জনসমাগমের জায়গা হাতে যেতে অনেকেই নিরুৎসাহিত বোধ করছেন। ‘গরু চাই’ অনলাইন হাট এই অসুবিধা গুলো দূর করে ক্রেতাদের দিচ্ছে ঝামেলা বিহীন গরু কেনার এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
গরু চাই এর উদ্দেশ্য ক্রেতা ও ফার্মের মধ্যে একটি সেতু তৈরী করার যেখানে একজন ক্রেতা হাটে না গিয়ে, ঘরে বসে একটি চমৎকার কুরবানীর পশু কিনতে পারেন এবং একজন খামারি বা একটি ফার্ম, হাটে গরু নিয়ে আসার কষ্টটা না করে যেখানে আছেন সেখানে থেকেই তার গরুটি বিক্রি করতে পারে। ‘গরু চাই’ এর পুরো টীম এই চেষ্টা করে যাচ্ছে বরং আর বাড়তি হিসাবে পাচ্ছে মানুষের দোয়া। এই মুহূর্তে ‘গরু চাই’ এর কালেকশনে আছে ৬৪ টি ফার্মের প্রায় ১০০০ টির মত গরু।
গরু চাই এর এই কর্মযজ্ঞে নিবেদিত ভাবে কাজ করে যাচ্ছে সুদক্ষ ফিল্ড টীম, ডেটা টীম, ব্যাকএন্ড, কাস্টমার সাপোর্ট এবং আরো অনেকেই। একজন কাস্টমার তার সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে পছন্দের দাম, রং, জাত বেছে, পরিবারের সবাইকে নিয়ে আরাম করে ঘরে বসে প্রচুর গরু দেখতে পারবেন, সেখান থেকে শর্টলিস্ট করতে পারবেন, কমপেয়ার করতে পারবেন, অ্যাডভান্স পেমেন্ট করে বুকিং দিতে পারবে। সবশেষে একটি আস্ত গরু পছন্দ করে কিনতে পারবে। আর দর দামের কোনো সুযোগ ‘গরু চাই’ এ থাকছে না কারণ গরুর মূল্য ফার্ম কতৃক নির্ধারিত। সীমিত পরিসরে থাকছে স্লটার সুবিধা। ক্রেতার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে টাকা পয়সা লেনদেনের বিষয়াটিতেও আমরা এনেছি বেশ ভিন্নতা।
গরু চাই এর ওয়েবসাইট থেকে একজন ক্রেতা চাইলেই কার্ডের মাধ্যমে, অনলাইন ব্যাংক ট্রান্সফার, ব্যাংক একাউন্ট ট্রান্সফার অথবা ক্যাশ এর মাধ্যমে গরু কিনতে পারবে। আর যোগাযোগের জন্য রয়েছে ফেসবুকের ম্যাসেজ অপসন। এছাড়াও আছে কল সেন্টার যেখানে কল করে একজন ক্রেতা ‘গরু চাই’ নিয়ে তার যেকোনো প্রশ্নের উত্তর পাবেন।
‘গরু চাই’ এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ রেফায়েত চৌধুরীর বলেন, অনলাইন হাট জমে ওঠার প্রধান কারণ হলো করোনার কারণে মানুষের বদলে যাওয়া মনোভাব। প্রচুর মানুষ ‘গরু চাই’ থেকে গরু কিনছে এবং আমাদের এই আধুনিক সার্ভিসের প্রশংসা করছেন, বিশেষ করে পেমেন্টের ফ্লেক্সিবিলিটি এবং ডেলিভারি সুবিধার। গুলশান নিকেতনে আমাদের কর্পোরেট অফিস এবং আমাদের চমৎকার একটি ওয়েবসাইট গ্রাহক প্রিয়তা পেতে এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে আমাদের অনেক সাহায্য করেছে।
তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে চাহিদা বেশি হলো মাঝারী ও ছোট গরুর। আর ফার্ম মালিকরা তাদের গরুর দাম কমাচ্ছে। তাই গরু চাই ও তাদের লিস্টিং এ গরুর দাম কমাচ্ছে যা ক্রেতাদেরকে আরো ‘গরু চাই’ থেকে গরু কেনার বিষয়ে উৎসাহিত করবে। আর দিন শেষে শত মানুষে কুরবানীর বিষয়ে সহযোগিতা করে সোয়াব কামানোটাই গরু চাই সংশ্লিষ্ট সকলের সবচাইতে বড় পাওয়া।