আমরা সেলারদের কাছ থেকে এমনভাবে চুক্তি করি, একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বাইক আমরা কিনবো; আর আপনি আমাকে এত পার্সেন্ট পর্যন্ত কমিশন দেবেন। সেজন্য আমরা বড় ধরণের ছাড় দিতে পারি। এজন্য আমরা সময়ও নেই। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেল এসব কথা বলেন। এসময় মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়েও কথা বলেন তিনি।
মো. রাসেল বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক চেক করার ক্ষমতা রাখে। তবে আমাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই এ বিষয়ে আমরা চিন্তিত নই। আমি আশাবাদী, খুব শিঘ্রই আমাদের ব্যাংক একাউন্ট খুলে দেয়া হবে। যখন প্রমাণিত হবে, আমাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের কোনো প্রমাণ নেই, তখন আমরা আরও শক্তিশালী হবো, বলেন ই-ভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে আমাদের যাত্রা শুরু। ভোক্তা এবং বিক্রেতাদের সেবা দেয়াই আমাদের লক্ষ্য। সব ধরণের পর্ববেক্ষণকে আমরা স্বাগত জানাই।
ক্রেতা এবং বিক্রেতা আনার জন্য নানা অফার দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিন্তু এগুলোর ভুল ব্যাখা দেয়া হচ্ছে। আমরা সব আইটেমে ১৫০ ভাগ ক্যাশব্যাক দেই না। বেশিরভাগ পণ্যেই কিন্তু এ ক্যাশব্যাক থাকে না। আর ১০০ টাকার যে পণ্য ৬০ টাকায় বিক্রি করছি, অনেকক্ষেত্রে সেটার মূল্য কিন্তু ৬০ টাকাই।
রাসেল বলেন, করোনা চলাকালীন সময়ে আমরা ব্যাপক ডেলিভারি দিয়েছি। আমাদের এখানে অস্বাভাবিক কোনো কার্যক্রম ছিল না। আমরা শুধু একটা মাধ্যমই। ক্রেতা এবং বিক্রেতা শুধু আমাদের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় করবেন। আমাদের এখানে ২২ হাজার সেলার বা বিক্রেতা আছে।
এসময় নিজের প্রতিষ্ঠানের ক্রয়-বিক্রয়ের পরিসিংখ্যানও তুলে ধরেন তিনি। রাসেল বলেন, আমরা এ পর্যন্ত ২১ লক্ষ প্রোডাক্ট (পণ্য) ডেলিভারি করেছি, যা ১৫’শ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের। অথচ মাত্র ৫ জন মানুষ দিয়েই এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রাহক সংখ্যা এখন ৩৭ লক্ষ। আমরা বড় ধরণের বিনিয়োগ পাবো বলেও আশা করছি। এজন্য গণমাধ্যমসহ সবার সহযোগিতা চাই।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্য দেশে আমার নাগরিকত্ব নেই। আমার কোনো আত্বীয়-স্বজনও বিদেশে থাকে না।