রাজধানীর বিভিন্ন স্বনামধন্য রেস্টুরেন্টের মজাদার সব খাবার নিয়মিত বিভিন্ন অফারের মাধ্যেমে হোম ডেলিভারি করে থাকে ইভ্যালি ফুড এক্সপ্রেস শপ বা ই-ফুড। ‘ই-ফুড’ নামে এ সেবার মাধ্যমে সিক্রেট রেসিপি, তর্কা, কাচ্চি ভাই,সুলতান ডাইন, শেফস টেবিলসহ প্রিমিয়াম রেস্টুরেন্ট এর খাবার সরবরাহ করে আসছে প্রতিষ্টানটি।
গতকাল(৩০ অক্টোবর) নাঈম নামের এক যুবক ই-ফুডে খাবারের অর্ডার দেন। হঠাৎ বাসায় খাবার ডেলিভারি নিয়ে হাজির হন ইভ্যালি ডট কম লিমিটেড’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা(সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল। এতেই অবাক হয়ে যান নাঈম নামের ওই যুবক। বিষয়টি নিয়ে নাঈম বলেন, রাসেল স্যার আমার জন্য খাবার নিয়ে এলো, এতটা সারপ্রাইজ হবো চিন্তাই করতে পারিনি।
এসময় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, তার জন্য অনেক ভালোবাসা রইলো। এ বিষয়ে মোহাম্মদ রাসেল বলেন, আজকে(গতকাল ৩০অক্টোবর) আমি গুলশান এলাকায় ডেলিভারি দিয়েছি। আগামী সপ্তাহে মিরপুর পরিদর্শন করবো। এভাবে আমি পুরো দেশই কভার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইভ্যালি ২১ লাখ পণ্য বিক্রি করেছে, যার আর্থিক মূল্যমান ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। পাঁচজন কর্মী নিয়ে ইভ্যালির যাত্রা হলেও বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীর সংখ্যা সাত শতাধিক। তার দাবি, ইভ্যালি ৩৭ লাখ গ্রাহক নিয়ে বর্তমানে দেশের ই-কমার্স খাতে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে।
মোহাম্মদ রাসেল আরো জানান, ইভ্যালি বর্তমানে ৪ হাজার কোটি টাকার কোম্পানি। শিগগিরই বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠান থেকে বিশাল বিনিয়োগ ইভ্যালিতে যুক্ত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন, একটি ই-কমাস এর লক্ষ্য হলো প্রচুর ক্রেতা। এটা এমনি এমনি হয় না। এজন্য অ্যাকশন প্যান থাকতে হয়। আমরা তা হাতে নিয়ে প্রচুর ক্রেতা ও বিক্রেতার সমাবেশ ঘটিয়ে এক নম্বর অবস্থানে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছি। আমরা এ অবস্থান ধরে রাখতে চাই।
প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অর্ডার করলে খাবার এবং রেস্টুরেন্ট থেকে গ্রাহকের অবস্থান অনুযায়ী সর্বনি¤œ ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে ফুড ডেলিভারি করা হবে।