আলিবাবা গ্রুপের অঙ্গ সংগঠন ও দেশের বৃহত্তম অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ (daraz.com.bd) আসন্ন ইভেন্ট “ইলেভেন ইলেভেন” (১১.১১) উপলক্ষ্যে গ্রাহকদের জন্য আয়োজন করেছে “মেইক অ্যা উইশ” নামক একটি বিশেষ ক্যাম্পেইন। এই আয়োজনটি শুরু হয়েছে ২৩ অক্টোবর থেকে, যেখানে প্রতিষ্ঠানটি ফেইসবুকের মাধ্যমে গ্রাহদের উইশ নিয়ে ভাগ্যবানদের ইচ্ছা পূরণ করছে। ১১.১১ ক্যাম্পেইন উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য নানান আয়োজনের মধ্যে এটি অন্যতম, যার মুলমন্ত্র- “ মেইক অ্যা উইশ, দারাজ উইল মেইক ইট হ্যাপেন”।
এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে দারাজ গ্রাহদের থেকে অনেক ইচ্ছা পেয়েছে যার মধ্যে ৩টি উল্লেখযোগ্য ইচ্ছা ছিলঃ- ১১টি অসহায় পরিবারের প্রতিটির মাঝে ১,১১১ টাকার খাবার কিনে দেওয়া যেটি করেছিলেন এমদাদুল হক রিপন (পেশায় একজন ছাত্র ও কালেকশন পয়েন্ট এজেন্ট), প্রাকৃতিক সৌন্দের্যের স্বর্গ সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল বরিশালের তুশার মজুমদারের এবং সম্মানজনক এবং স্বচ্ছলভাবে চলার জন্য দারাজে একটি চাকরির ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন মোহাম্মাদ মোনির উদ্দিন (বর্তমানে দারাজে জুনিয়র অ্যাসোসিয়েট হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে)। এখনও চলছে এই আকর্ষণীয় ক্যাম্পেইন। তাই গ্রাহকরা এখনও চাইলে অংশগ্রহণ করতে পারবেন ‘মেইক অ্যা উইশ’ ক্যাম্পেইনে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম দারাজ, টানা তৃতীয় বছরের মত আয়োজন করছে তাদের বাৎসরিক সবচেয়ে বড় সেল- ইলেভেন ইলেভেন। পুরো বিশ্বের পাশাপাশি বৃহত্তম এই শপিং ফেস্টিভালটি আয়োজিত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি দারাজ কান্ট্রিতেও। এর মধ্যে রয়েছে- পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মিয়ানমার। আলিবাবা গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ড্যানিয়েল ঝ্যাং সর্বপ্রথম ইলেভেন ইলেভেন-এর আবিস্কার করেন যা প্রাথমিকভাবে চীনে “সিঙ্গেলস ডে সেল” নামে পরিচিত থাকলেও বর্তমানে তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গুলোতে ” লার্জেস্ট গ্লোবাল শপিং ফেস্টিভাল” হিসেবে উদযাপিত হয়। বিশেষ এই দিনটিতে রেকর্ড পরিমাণ বিক্রয় হয়, যা সব মিলিয়ে ছাড়িয়ে যায় ব্ল্যাক ফ্রাইডে, সাইবার মানডে এবং ইয়ার এন্ড এর মতন ক্যাম্পেইনগুলোর বিক্রয় পরিমাণকে।
এই ৫ দেশের দারাজ থেকে ক্যাম্পেইনটিতে অংশগ্রহণ করে মোট ১,৮০০ দেশি, বিদেশী ব্র্যান্ড এবং ১,৫০,০০০-এরও বেশি নিবন্ধিত সেলার। ক্যাম্পেইন চলাকালীন ইউজারগণ সহজেই উপভোগ করতে পারবেন বিশাল ডিসকাউন্টে পণ্য, খেলতে পারবেন ১ টাকা গেম ও মিশন ১১.১১-এ অংশ নিয়ে জিতে নিতে পারবেন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
মূলত, ১১.১১ এমন একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন করোনা ভাইরাসের কারণে বেশিরভাগ দেশের অর্থনীতি ও জনগণ উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। ১১.১১ শপিং ফেস্টিভালটি আমাদের সেলারদের পুনরুদ্ধার করার এবং বিক্রয় বাড়ানোর সুযোগ তৈরির পাশাপাশি মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের তাদের প্রয়োজনীয়/প্রিয় পণ্যগুলি সর্বনিম্ন মূল্যে উপভোগ করারও সর্বাধিক সুযোগ দেয়।
দারাজ গ্রুপের সি ই ও, বিয়ার্কে মিকেলসন বলেন “এই সংকটময় সময়ে আমাদের ই-কমার্স মার্কেটের ব্যবসা প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। আর ঠিক এই কারণেই আমরা ডিজিটাল উপস্থিতির গুরুত্বটা উপলব্ধি করি। সময়ের সাথে সাথে আমাদের চারপাশের সমস্ত কিছুই ডিজিটালাইজড হয়ে উঠছে। আমাদের দারাজ এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা নতুন সেলারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার পাশাপাশি গ্রাহকদের হাতের মুঠোয় এনে দেয় কয়েক মিলিয়ন পণ্যভাণ্ডার। দারাজ একই সাথে গ্রাহকের নতুন চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ব্যবসাগুলিকে ডিজিটালাইজড করার সুযোগ দিয়ে থাকে “।