প্রতিষ্ঠার দুই বছর পেরিয়ে তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করল দেশীয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি ডট কম লিমিটেড। এ উপলক্ষে নানান আয়োজনে নিজেদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করলো প্রতিষ্ঠানটি।
বুধবার রাজধানীর রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে সীমিত পরিসরে নানান আনুষ্ঠানিকতায় দিনটি উদযাপিত হয়। আয়োজনের শুরুতেই মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
ইভ্যালি সূত্রে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতিতে বড় ধরনের কোনো আয়োজনের পরিবর্তে নিজস্ব কর্মী এবং সীমিত সংখ্যক গ্রাহক ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এছাড়াও দেশের ই-কমার্স, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত সংশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ইভ্যালির সেরা বিক্রেতাদের মধ্যে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয় এবং এ বছরের সেরা বিক্রেতা হিসেবে ফেয়ার ইলেকট্রনিকসের নাম ঘোষণা করেন ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল। এছাড়াও সেরা বিক্রেতাদের মধ্যে পিএইচপি গ্রুপ, হিরো, রানার, টিভিএস, কোকাকোলা, পারটেক্স গ্রুপ, ফ্লোরা লিমিটেড, আফতাব গ্রুপ, আখতার ফার্নিচারের মতো আরও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করে সম্মানিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল মহান বিজয় দিবস এবং সেই সাথে একাত্তরের মহান শহীদদের স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে যেমন বাংলাদেশের জন্ম হতো না তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্ম না হলে হয়তো ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্ম হতো না। আজ আমরা খুবই আনন্দিত যে আমরা সফলতার সাথে দুই বছর পার করলাম এবং এই সফলতার পেছনের সব থেকে বড় অবদান ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট সজিব ওয়াজেদ জয়ের। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশকে যেভাবে ডিজিটালি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সে অনুপ্রেরণা থেকে আজকের এই ইভ্যালির জন্ম। আর এটা সফল করা সম্ভব হয়েছে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, ইক্যাব, বেসিস, সকল মিডিয়া, গ্রাহক এবং বিক্রেতাদের আন্তরিকতার জন্য। আর সকল গ্রাহক ও বিক্রেতাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ইভ্যালির দক্ষ কর্মীরা। আমি সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, ইভ্যালি সমগ্র ই-কমার্সে ৭০ শতাংশ সেবা প্রদান করে, গত দুই বছরে প্রায় ৩৫ লক্ষ ইউনিক অর্ডার ডেলিভারি করে এবং ভবিষ্যতে জিডিপিতেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন বলেন, মাত্র সাত থেকে আটজন সদস্য নিয়ে শুরু হওয়া ইভ্যালি আজ আট শতাধিক সদস্যের পরিবার। তবে আমাদের আরও পথ পাড়ি দিতে হবে। এই দেশের প্রতিটি অঞ্চলে, আনাচে-কানাচে ই-কমার্সকে নিয়ে যেতে হবে। গ্রাহক এবং বিক্রেতারা আমাদের যেভাবে সাহায্য করে যাচ্ছেন, আমাদের ওপর আস্থা রাখছেন তাতে আমাদের বিশ্বাস ইভ্যালি সেই গুরুদায়িত্ব অল্প সময়ের মাঝেই সফলভাবে পালন করতে সক্ষম হবে। সবশেষে কেক কাটার মধ্যে দিয়ে দিনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।