দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত হতে যাচ্ছে চলচ্চিত্র “অপারেশন সুন্দরবন”। র্যাব ওয়েলফেয়ার কো- অপারেটিভ সোসাইটি এর প্রযোজনায় দেশি-বিদেশি কলাকুশলী এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ভিএফএক্সের ছোঁয়ায় নির্মাণ করা হবে চলচ্চিত্রটি। “অপারেশন সুন্দরবন” চলচ্চিত্রটির পরিচালক হিসেবে থাকছেন “ঢাকা অ্যাটাক” এর পরিচালক দীপংকর দীপন।
সম্প্রতি র্যাব সদর দপ্তরে ইভ্যালির পক্ষ থেকে পৃষ্ঠপোষকতার চেক তুলে দেওয়া হয়। ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন র্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের নিকট চেকটি হস্তান্তর করেন। এসময় ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেলসহ ইভ্যালি এবং র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
“অপারেশন সুন্দরবন” চলচ্চিত্রটি নিয়ে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক নির্দেশনায় এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে সুন্দরবনকে জলদস্যু ও বনদস্যু মুক্ত করতে “লিড এজেন্সি” হিসেবে কাজ করে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন র্যাব। অবশেষে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সুন্দরবনকে জলদস্যু মুক্ত হিসেবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। সুন্দরবনে র্যাবের এই সাফল্যগাঁথা ও রোমা কর অভিযান চিত্র জনসাধারণের মাঝে তুলে ধরতেই নির্মাণ করা হচ্ছে “অপারেশন সুন্দরবন”।
এবিষযয়ে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল বলেন, আমাদের দেশ ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি সদস্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে এলিট ফোর্স র্যাবের ভূমিকা অন্যতম। চৌকস এই বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা নিবেদনের ক্ষুদ্র প্রয়াস এটি। আমরা আশা করছি, একটি নান্দনিক চলচ্চিত্র নির্মিত হবে এবং সেটি সকল স্তরের দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পাবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার ছাড়াও আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ, লে. কর্নেল খাইরুল ইসলামসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
“অপারেশন সুন্দরবন” থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতা, সাবেক জলদস্যুদের পুনর্বাসন এবং উপকূলীয় অ লের জনকল্যাণে ব্যয় করা হবে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।