দেশি পণ্যের অনলাইন বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান পরিধান শৈলীর কাস্টমার মিটআপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছে প্রায় শতাধিক উদ্যোক্তা ও কাস্টমার।
গতকাল (১০ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডির উইমেন ভলান্টারি অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউভিএ) মিলনায়তনে পরিধান শৈলীর কাস্টমার মিটআপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিল ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি রাজিব আহমেদ, উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) এর প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা, কাকলী’স অ্যাটিয়ার’সের স্বত্বাধিকারী কাকলী রাসেল তালুকদার সহ শতাধিক কাস্টমার।
দেশি পণ্যের উদ্যোক্তারা নিজেদের কাস্টমারদের নিয়ে ছোট ছোট মিটআপ আয়োজন করে থাকেন মূলত ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি করার লক্ষ্যে। তারা মনে করে, কাস্টমার মিটআপ গুলো প্রোডাক্ট ও সার্ভিসের রিসার্স এন্ড ডেভেলপ (আর এন্ড ডি ) তে ভূমিকা রাখে। উদ্যোক্তারা নিজেদের পণ্যের বিভিন্ন রকম সম্ভাব্য ব্যবহারও তুলে ধরেন। বিশেষ করে যারা শাড়ি নিয়ে কাজ করে তারা নিজের উদ্যোগের শাড়িতে বিয়ে বউ রাখেন কাস্টমার মিটআপে। সম্ভাবনাও বুঝতে পারেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
মেহজাবীন রাখী বলেন, অধিকাংশ ক্রেতার পরেন দেশি শাড়ি দেখে আমার মনে হয়েছে, পরিধান শৈলীর কাস্টমার মিটআপ অনলাইনে দেশি শাড়ি আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে।
রাজিব আহমেদ বলেন, হাফ সিল্ক এর শাড়ি দেখতে বেশ সুন্দর এবং দামেও কম। তাই এর অনেক বেশি প্রচার হওয়া দরকার। আশা করি রাকিমুন জয়া আপু এদিকে ভাল করবেন।
পরিধান শৈলীর স্বত্বাধিকারী রাকিমুন বিনতে মারুফ জয়া টেকজুম কে বলেন, পরিধান শৈলীর শাড়িতে কিছু কাস্টমার একত্রিত হওয়া স্বপ্নের মতো ছিল। আজকের মিটআপে এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। দিন টি ছিল আমার জন্যে খুবই আনন্দের।
তিনি আরও বলেন, আমি যখন দেশি হাফসিল্ক শাড়ি নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম তখন থেকে দেশি হাফসিল্ক শাড়ির ধরন নিয়ে বিরূপ মন্তব্য শুনেছি। কিন্তু আজকে কাস্টমার মিটআপে উপস্থিত বেশিরভাগ মানুষ শৈলীর হাফসিল্ক শাড়ি পরে এসেছে। আজ দেশি হাফসিল্ক শাড়িতে বিয়ের কনেও দেখেছি। এ কাস্টমার মিটআপ থেকে আমি আশাবাদী আগামী বছরের মধ্যে দেশি হাফসিল্ক শাড়ির জনপ্রিয়তা অনেক বৃদ্ধি পাবে।
অনলাইন বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান পরিধান শৈলী মূলত দেশি শাড়ি ও হাফসিল্ক শাড়ি বিক্রি করে।