পশ্চিমা দেশ গুলোতে ইকমার্স এর উদ্ভব হলেও ইদানিং আমাদের দেশেও তরুন উদ্যোক্তারা ইকমার্স সাইটে উদ্ভুদ্ধ! একটি পারফেক্ট ই-কমার্স সাইট ব্যবসার সফলতার পেছনে অনেক ভূমিকা রাখে৷
জেনে নেওয়া যাক পারফেক্ট ই-কমার্স সাইট খোলার পূর্বে মাথায় রাখবেন যে ব্যাপারগুলি!
ডোমেইন নেমঃ
এটি নিয়ে রেজিষ্ট্রেশনের সময় অবশ্যই খেয়াল করতে হবে ‘ডোমেইনে’র বানানটি যেনো কমপ্লেক্স না হয়। সেটি যেনো ছোট এবং সিম্পল হয়।
২. ওয়েব হোস্টিংঃ
এই জিনিসটিকে আপনাদের শুরু করতে হবে ছোট একটি প্যাকেজ থেকে। যেটার মাধ্যমে আপনি ই-কমার্স সাইট সুন্দরভাবে তৈরী করতে পারবেন। বড় কোনো প্যাকেজের দ্বারা এটি শুরু না করাটাই ভালো হবে।
৩. ই-কমার্স প্লাটফর্মঃ
ই-কমার্সের প্লাটফর্মের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন জিনিস মাথায় রাখতে হবে। আপনি কি রকম বা কেমন সাইট বানাতে চাচ্ছেন, ভিজিটররা আপনার সাইটে কি রকম ইমপ্যাক্ট করবে, আপনার এখানে কোন সেলাররা সেল করতে পারবে বা কোন সেলাররা পারবে না। এক্ষেত্রে আপনি ‘ওয়ার্ড প্রেস’ চুজ করতে পারেন। এটি চুজ করে আপনাকে ই-কমার্স প্লাগ ইন্সটল করতে হবে। যেটির মাধ্যমে আপনি আপনার পছন্দের সাইটটিকে খুব সহজেই ই-কমার্স সাইটে পরিনত করতে পারবেন। আপনি আরও চুজ করতে পারেন অএস কমার্স, ওপেন কার্ড, মেজেন্টা ইত্যাদির মতো প্রফেশনাল স্ক্রিপ্টগুলো। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে চিন্তা ভাবনা করে প্রয়োজনীয় কোনটি সেটি চুজ করতে হবে। আপনি যদি একই প্লাটফর্মে ই-কমার্স সাইটের পাশাপাশি একটি ব্লগ চালাতে চান অথবা সেখানে আপনি অনলাইন অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এর মাধ্যমে ইনকাম করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস বাটনটি চুজ করা উচিত।
৪. টার্গেট মার্কেটঃ
এটির ক্ষেত্রে অনেকেই বড় একটি ভুল করে। সেটি হচ্ছে টার্গেট মার্কেট চুজ করার ক্ষেত্রে অনেকেই তাদের নির্দিষ্ট কোন গন্তব্য বা লক্ষ্য রাখে না। তারা এটা ভাবে যে আমি এই মার্কেট চুজ করবো এবং আমার টাকা অনেক ইনকাম হবে। আসলে এভাবে করে ই-কমার্সে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়। আপনাকে এভাবে চিন্তা করতে হবে যে বর্তমানে যেসব সাইট গুলো এত বড় হয়েছে তারা আস্তে আস্তে উপরে উঠেছে। কেউ কিন্তু এক দুই দিনে বড়লোক হয়ে যায়নি। এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই উচিত আপনার মার্কেটকে যতটা সম্ভব ছাঁটাই করে অ্যারো করে ফেলা। যেটার মাধ্যমে আপনি আপনার মার্কেটপ্লেস টি অনেক সহজভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। আসলে আপনার নিজের মার্কেটপ্লেসটি হবে আপনার নিজের মতো করে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে মার্কেটপ্লেসটি যেনো অন্য সবাই পছন্দ করে।
৫. প্রডাক্ট ভেরিয়েশন এবং সাপ্লাইঃ
যে প্রোডাক্ট নিয়ে আপনি প্রথমে এটার জন্য নামবেন অবশ্যই সেটার জন্য ভেরিয়েশন রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে কালার ভেরিয়েশন থাকতে পারে অথবা ডাইমেনশন ভেরিয়েশন থাকতে পারে। ধরেন আপনি যদি টি-শার্ট সেল করেন, সে ক্ষেত্রে কোন কোন ডিজাইনের টি-শার্ট এ কোন কোন কালার ভেরিয়েশন দিবেন সেটা অবশ্যই চুজ করে নিতে হবে।
সাপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে যেটা মাথায় রাখতে হবে যে আপনি যেই প্রোডাক্টটি সেল করবেন, সেই প্রোডাক্টটি আসলে কিরকম সাপ্লাই পাচ্ছে। অর্থাৎ সাপ্লাই এর ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে সেই প্রোডাক্টটির পর্যাপ্ত পরিমাণে সাপ্লাইয়ার আছে কিনা। এসব জিনিস ভাবনা চিন্তা করেই প্রোডাক্ট চুজ করতে হবে।
৬. পেমেন্ট মেথডঃ
অনলাইন পেমেন্টের ব্যাপারটি আমাদের দেশে এখনও সেরকম ভাবে জনপ্রিয় না। কিন্তু এরপরও ই-কমার্স সাইটের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে ‘ক্যাশ পেমেন্ট মেথড’। এছাড়াও বিকাশ বা ডাচ বাংলার মাধ্যমেও অনেকে পেমেন্ট করে থাকে। অনেকে কার্ড ব্যাবহার করেও পেমেন্ট করে থাকে।