২৭ ফেব্রুয়ারী শনিবার পুরান ঢাকার ওয়ারীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো প্রায় ২০০ উদ্যোক্তার মিলনমেলা। পুরান ঢাকা সহ, ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত এবং ঢাকার বাইরে থেকেও উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করেন এখানে। মূলত পুরান ঢাকার ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের নিজেদের মধ্যে পরিচিতি বাড়াতে বাংলাদেশ ই-কমার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক সভাপতি রাজিব আহমেদ স্যারের পরামর্শে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন৷ (বীর মুক্তিযোদ্ধা) আলহাজ্ব আবু আহমেদ মন্নাফী- সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়ারী ডিভিশন শ্যামপুর জোনের এডিসি নাজমুন নাহার, দারুস সালাম জোনের এডিসি মাহমুদা আফরোজ লাকী, আহমেদ ইমতিয়াজ মন্নাফী (গৌরব) কাউন্সিলর – (৩৮নং ওয়ার্ড) ঢাকা সিটি করপোরেশন।
মিটআপের স্পন্সর হিসেবে ছিলেন ম্যাট ম্যাচ বাই রাফি,কাকলি’স এ্যাটেয়ার, আরিয়া’স কালেকশন, তেজস্বী, কন্যাসুন্দরী, তিস্তা, টেস্টিবিডি, ফারহানা’স ড্রিমের স্বতাধিকারীরা। একদিনে দেশীয় পণ্যের স্টলে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার বিক্রি করেন উদ্যোক্তারা।
কাকলি’স এ্যাটেয়ারের স্বতাধিকারী কাকলি রাসেল তালুকদার বলেন- “পুরান ঢাকায় দেশীয় পণ্যের প্রদর্শনী একটি ভালো উদ্যোগ ছিলো। পরবর্তীতে এমন উদ্যোগ অন্যান্য জেলাগুলোতেও জনপ্রিয় হবে এবং তৃণমূল পর্যায়ে আমাদের দেশীয় পণ্যের অগ্রযাত্রায় দারুণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি করি।” তিনি একদিনে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭০০ টাকা জামদানী শাড়ি বিক্রি করেন।
উপস্থিত আরেক উদ্যোক্তা নিগার ফাতেমা বলেন , “পুরাতন ঢাকার ইভেন্ট একটি অসাধারণ আয়োজন ছিল। আমি উপস্থিত ছিলাম আমার উদ্যোগ নিয়ে, ৫৩৭০০ টাকার খেশ পন্য বিক্রি করেছি।”
তাঁতের শাড়িতে ডিজাইন করেন উদ্যোক্তা মনিকা আহমেদ। তার উদ্যোগের নাম কন্যাসুন্দরী, তিনি জানান, “গতকালকের দেশীয় পন্যের এক্সিভিশনে আমরা দেশীয় পন্যকে সকলের সামনে প্রদর্শন করেছি। সবার স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণে এক্সিভিশনটি সফল। তার বিক্রি হয়েছে ১৭,৭৪০ টাকা।”
উপস্থিত ছিলেন ই-ক্যাবের সাবেক ও প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট রাজিব আহমেদ। তিনি বলেন, “পুরান ঢাকাতে ই-কমার্স নিয়ে এত আগ্রহ দেখে আমি আনন্দিত। আশা করি এমন ইভেন্টের ফলে অনেক নতুন কাস্টমার তৈরি হবে এবং উদ্যোক্তারাও এগিয়ে যাবেন।“
পুরান ঢাকার উদ্যোক্তাদের মধ্যে পরিচিতি এবং ই-কমার্স নিয়ে পড়াশোনার এক নতুন সম্ভবনার সুযোগ তৈরী হলো এই মিটআপের মাধ্যমে। এর ফলে ই-কমার্সে দেশীয় পণ্যের প্রচার ও প্রসার বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করেন উপস্থিত সকলে।