করোনাকালীন সময়ে পুরো বিশ্ব যখন থমকে গিয়েছে,ঠিক তখন ই-কমার্সের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে হাজার হাজার উদ্যোক্তা। অফিস চালাতে হিমসিম খেয়ে অনেকেই চাকরি হারিয়ে মোটামুটি পথেই বসেছিলো বলা চলে। ঠিক সেই সময়ে নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই হয়ে উঠেছেন সফল ই-কমার্স ব্যবসায়ী।
স্কুল কলেজ ও সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরাও নিজের অবসরকে কাজে লাগিয়ে শুরু করেছে সীমিত বা সাধ্যমতো পরিসরে নিজেদের উদ্যোগ। তাদের এমন সম্ভবনাময় উদ্যোক্তা জীবনকে সহজ করেছে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি।
ই-কমার্সের মাধ্যমে করোনাকালীন সময়ে জমে উঠেছে অনলাইনের সকল প্রকার বিজনেস।
এমনই একজন উদ্যোক্তা “হাড়িপাতিল” এর স্বত্বাধিকারী শারমিন লিপি জানান-পারিবারিক সমস্যার কারণে সরকারী জব ছেড়ে বেসরকারি জব করছি।যখন থেকে বেসরকারি জব শুরু করেছি তখন থেকে অনিশ্চয়তা আমাকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে।করোনাকালীন সময়ে চাকরি হারিয়ে একেবারে বিপদে পরে যায় ছেলে মেয়ে নিয়ে। ঠিক সেই সময়ে জীবণে একটা নতুন মোড় আসে । কাজ শুরু করেছি স্বপ্ন পূরনের লক্ষ্যে।রান্না সেল করে টাকা উপার্জন একটা অন্যরকমের ভালোলাগা তৈরি করে।বাবা মায়ের দেওয়া নাম টা ঘষে নিজের পরিচিতি করতে চেষ্টা করছি।ই-কমার্স এই পথ মসৃণ করেছে। আমার বেশিরভাগ অর্ডার আসে অনলাইনে।
বগুড়া শহরের আরও একজন উদ্যোক্তা সারা বুটিক এর স্বত্বাধিকারী এলিনা বলেন-পাট হচ্ছে আমাদের গোল্ডেন ফাইবার।বর্তমানে E-commerce এর প্রসারের ফলে আবার পাট জাত পণ্যকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা অনেকটা সহজ হয়েছে।
পাটের তৈরি গহনা নিয়ে কাজ করছি। পাটের তৈরি গহনা বর্তমানে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে যা সম্ভাব হয়েছে E-commerce এর প্রসারের ফলে।
প্রতিটা জিনিসের-ই ভালো ও খারাপ উভয় দিক আছে। আমাদের উচিত ভালো টা গ্রহণ করা।মহামারী করোনায় বিশ্ব অচল হয়ে পরলেও ই-কমার্সের মাধ্যমে শহর গ্রামের প্রতিটা পারা মহল্লায় গয়ে উঠেছে শারমিন কিংবা দিপুদের মতো হাজার হাজার উদ্যোক্তা।এমন উদ্যোক্তাদের গল্পগুলো অনেকের জন্য অনুপ্রেরণার।
লেখক: প্রমি পোদ্দার
স্বত্বাধিকারী: “পুষ্পরেণু”