৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। দশ হাতে সন্তান লালন পালন সহ সংসার-কর্মক্ষেত মোট কথা ঘরে বাইরে সব কিছু সামলে নিচ্ছে নারীরা। পুরুষদের থেকে কোন অংশে পিছিয়ে নেই বরং পুরুষের কাঁধে কাঁধ রেখে সাফল্য অর্জন করেছেন তারা। রাজনীতি থেকে অর্থনীতি সর্বত্র নারীদের অংশগ্রহণ ও সফলতা প্রশংসনীয়। সমাজে অবাঞ্চিত ও অবহেলিত সকল নারীদের জন্যই ৮ ই মার্চ নারী দিবস শ্রদ্ধা এবং সম্মানের । নারী দিবসের জন্য বেগুনি ও সাদা রংকে নির্ধারন করা হয়েছে যা মূলত সুবিচার ও মর্যাদা কে নির্দেশ করে।
১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ এ দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনের আহ্বান জানানোর পর বিশ্বব্যাপী পালিত হলেও বাংলাদেশে ১৯৭১ সাল থেকেই ৮ই মার্চে নারী দিবস পালন করা হয়।
এবারের নারী দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হল – “করোনাকালে নারী নেতৃত্ব গড়বে নতুন সম্ভাবনার বিশ্ব।” করোনা মহামারীতে যখন পুরো বিশ্ব স্থবির, কর্মহীন হয়ে বন্ধ হয়েছে অনেক পুরুষ এর আয়ের পথ ঠিক তখনি অনেক নারী বেঁচে নিয়েছেন চ্যালেন্জিং পেশা উদ্যোক্তা হওয়ার। অনেকে নতুন ভাবে ঢেলে সাজিয়েছেন নিজের উদ্যোগ কে সৃজনশীলতা ও বুদ্ধিমত্বার সাথে। এভাবেই এই কঠিন সময়ে হাল ধরেছেন সংসারের।নারী দিবস নিয়ে এমন কয়েকজন উদ্যমী নারী উদ্যোক্তার সাথে কথা বলেছিলাম টেকজুমের পক্ষ থেকে। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো একজন নারী উদ্যোক্তার দৃষ্টিকোন থেকে নারী দিবসে তাদের চিন্তা-ধারা ও মতামত।
কাকলী’স এট্যায়ার সত্বাধিকারী কাকলী তালুকদার বলেন- “আমি একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নারীদের সংসারের বাইরের জগতে গিয়ে কাজ করার চিন্তাভাবনা কে ইতিবাচক বলে মনে করি কারন যে নারী উদ্যোক্তারা বিজনেস করছেন বিশেষ করে অনলাইনের মাধ্যমে তারা কিন্তু ঘরে বসেই যাবতীয় কাজ করতে পারছেন। যার ফলে তাদের প্রতিদিন বাইরে যেতে হচ্ছে না এবং নিজের প্রতিভার মাধ্যমেই নিজের উদ্যোগ কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো নারীদের ঘরের বাহিরের যেয়ে কাজ করতে অনেকে পারিবারিক সাপোর্ট পাননা।
বিশেষ করে অনেক শিক্ষিত নারী রয়েছেন যারা বিয়ের পর বাচ্চা এবং সংসারের কারনে চাকুরি ছাড়তে বাধ্য হন। অথচ তাদের জন্য উদ্যোক্তা জীবন হতে পারে আশীর্বাদ স্বরূপ।নারী দিবস আমাদের জন্য অনেক সম্মানের।আমি চাই এই দিনের মতো প্রতিটি দিন হোক নারীদের জন্য সুন্দর ও সুস্ঠ। পারিবারিক ও সামাজিক সাপোর্ট হোক নারীর চলার পথের শক্তি।”
আয়নাবতির স্বত্বাধিকারী আফসানা ভূইয়া নিপা বলেন- “৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে একজন নারী উদ্যোগতাকে নিরাপদ কাজের ব্যবস্থা করে দিতে হবে কারণ একজন নারীর অধিকার নিরাপদ ভাবে কাজ করতে পারা। যতটুকুন জানি বাংলাদেশে নারী ব্যবসায় মালিকানা অন্য অনেক উন্নত রাষ্ট্রের তুলনায় বেশি। সে ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সরকারি, বেসরকারি সহায়তা এবং নারী উদ্যোক্তাবান্ধব নীতি প্রণয়ন করে তার যথাযথ বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশকে একটি সম্মানজনক অবস্থান তৈরিতে সহায়তা করবে এই প্রত্যাশা একজন নারী উদ্যোগতা হয়ে নারী দিবসে সবার কাছে।”
আইরিন কুকিং স্টুডিও এর ওনার আইরিন আক্তার এমি বলেন- “একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নারী দিবেসের দিনটি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ তেমনি সম্মানের দিন।এই দিনটিতে সকল নারীকে সম্মান জানানো হয়। আমাদের নারীদের অনেক সংগ্রাম করে এগিয়ে যেতে হয়। এই নারী দিবসে আমরাদের সকল নারী শপথ করা উচিত “ আমরা নিজের নামে নিজের পরিচয় গড়ে তুলে সামনে এগিয়ে যাবো।”