দেশব্যাপী ডাকঘরের সুবিস্তৃত নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল কমার্সে নিয়োজিত বেসরকারি উদ্যোক্তাদের ব্যবহারের জন্য নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর ফলে দেশব্যাপী দ্রুত সময়ে শাকসবজীসহ পঁচনশীল পণ্য পরিবহন ও বিতরণ সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যে ডাক পরিবহণের গাড়ী ও দেশের ৬৪টি জেলায় শর্টিং সেন্টারে হিমায়িত চেম্বার করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এর ফলে দেশে ডিজিটাল কমার্সের বিকাশে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় এটুআই কর্মসূচি ‘একশপ’ এর উদ্যোগে সারা দেশে ন্যাশনাল ই-কমার্স এজেন্ট তৈরির লক্ষ্যে ডাক অধিদপ্তরের উদ্যোক্তাদের মধ্যে মাস্টার ট্রেইনার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
ডিজিটাল কমার্স যুক্ত করায় ডাকবিভাগ নতুনরূপে আবির্ভূত হবে বলে মন্ত্রীও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সিরাজ উদ্দিন এবং এটুআই এর কর্মকর্তা রেজোয়ানুল হক জামি বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ ডিজিটাল কমার্স সম্প্রসারণে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
চিঠির যুগের অবসান হলেও প্রাচীনতম এই প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডাকঘরের দেশব্যাপী বিশাল নেটওয়ার্ক ভিন্নমাত্রায় রূপান্তরিত করা হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অনেক পুরাতন প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির অনেক ত্রুটি ও পশ্চাদপদতা আছে। বিদ্যমান পশ্চাদপদতা কাটিয়ে উঠেতে ডাক অধিদপ্তরের সমস্ত কার্যক্রম ডিজিটাল করা হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডিজিটাইজেসন বাস্তবায়িত হয়েছে তবে সামগ্রিকভাবে ডিজিটালাইজেশন না করলে তার সম্পূর্ণ সুফল পাওয়া সহজ হবে না।
ডিজিটাল কমার্স দিনে দিনে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল কমার্স শহরের পণ্য যেমন গ্রামে যাবে ঠিক তেমনি গ্রামের পণ্য শহরে আসবে । আমরা যদি উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষিত করতে পারি তবে ডিজিটাল কমার্সের ব্যাপক সক্ষমতা আমরা গড়ে তুলতে পারবো।
এই ক্ষেত্রে ডিজিটাল ডাকঘরের উদ্যোক্তাদের মধ্যে মন্ত্রী ডিজিটাল সক্ষমতা তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আগামী দিন গুলোতে ডিজিটাল কমার্সের চাপ অনেক বেড়ে যাবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা মাস্টার ট্রেইনার তৈরি করছি। এজন্য ব্যবসার জন্য যতটুকু ডিজিটাল দক্ষতার দরকার সেটা করতে হবে।
তিনি ডিজিটাল কমার্স সম্প্রসারণে এটুআই এর এই উদ্যোগকে অসাধারণ উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী উদ্যোক্তাদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশের বড় সৈনিক আখ্যায়িত করে বলেন , মাস্টার ট্রেইনাররা ডিজিটাল কমার্সের বিষয়ে নিজে জ্ঞানার্জন করবে এবং তারা অন্যদেরকে প্রশিক্ষিত করার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ছড়িয়ে দেবে যা ডিজিটাল কমার্স সম্প্রসারণে অবদান রাখবে।
দেশ ব্যাপী ডাক বিভাগের সাড়ে আট হাজার উদ্যোক্তাকে পর্যায়ক্রমে এই প্রশিক্ষণের আনা হবে বলে মন্ত্রী জানান।
পরে মন্ত্রী মাস্টার ট্রেইনার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।